কী আছে নতুন বইয়ে? কেমন ভেতরের ছবিগুলো? আছে কী পাঠ্যসূচিতে? চোখে মুখে এমন কৌতুহলে একেকটি পাতা উল্টিয়ে যেন সেটাই দেখার চেষ্টা তাদের। বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দের অন্ত নেই।
এবার নতুন বইয়ের অপেক্ষা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। কারণ নতুন শিক্ষাক্রম। গতবছর প্রাথমিকের শুধু প্রথম শ্রেণিতে হলেও এবার ২য় ও ৩য় শ্রেণিতেও যুক্ত হলো নতুন শিক্ষাক্রম। অন্যদিকে এবার মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম।
সারাদেশে প্রাথমিকের শতভাগ বই পৌঁছালেও মাধ্যমিক পর্যায়ে কোনো কোনো বিভাগে ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ বই পৌঁছায়নি। এর বেশিরভাগই অষ্টম ও নবম শ্রেণির। তাই এই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফিরতে হয়েছে কিছুটা অপূর্ণতা নিয়ে।
এবার সারাদেশের প্রাথমিকের ২ কোটি ১২ লাখ ৫২ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬০৬টি বই বিতরণের লক্ষ্য। আর মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ১৮ কোটি ৬০ লাখ ৯২ হাজার ১৩৫টি বই বিতরণের লক্ষ্য রয়েছে। তবে একদম ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মুদ্রণে এসেছে বেশ কয়েকটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি। একারণে মাধ্যমিকের সব বই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান জানালেন, ঢাকার সব শিক্ষার্থী যেন সঠিক সময়ে বই পায় সে বিষয়টি খেয়াল রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক-অভিভাবক সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। এতে মিরপুর থানার ২১টি স্কুলের ৩ হাজার শিক্ষার্থী একসাথে অংশ নেয়। শিশুদের মাঝে বই বিতরণ করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
প্রতিবছর কেন্দ্রীয়ভাবে মাধ্যমিকের আলাদা বই উৎসব হলেও এবছর নির্বাচনের জন্য অনুমতি মেলেনি। তাই প্রতিটি স্কুলেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশে আলাদাভাবে বই উৎসবের আয়োজন করে।