মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাসন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অন্যতম বড় ব্যাংক গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল ব্যাংক এবং পিয়ংইয়ংভিত্তিক কোরিয়া মণ্ডল ক্রেডিট ব্যাংক।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অবৈধ সামরিক সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত ১১ ব্যক্তি ও ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১০টি দেশ মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর সামরিক সম্পর্কের সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানানোর পর এ নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত এসেছে।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার সমর্থন জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার ‘সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’। এরই সঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিয়ংইয়ং ও মস্কো নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের জুনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়ায় সফর করেন। সে সময় দুই দেশের নেতারা পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সম্মত হন।
এ দুদেশের সামরিক সহযোগিতা আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়েছে। এজন্য ওয়াশিংটন, কিয়েভ এবং সিউল রাশিয়ারকে সমর্থন করার জন্য সামরিক সরঞ্জাম এবং ১০ হাজারেরও বেশি সেনা পাঠানোর জন্য উত্তর কোরিয়ার নিন্দা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অফিস অব টেরোরিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি ব্র্যাডলি স্মিথ বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং রাশিয়ার প্রতি সামরিক সহায়তা জোরদার করাসহ এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করছে এবং ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধ টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করছে।’
এদিকে ইউক্রেন সোমবার জানিয়েছে, সপ্তাহান্তে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার অন্তত ৩০ সেনা নিহত বা আহত হয়েছে। এতে বলা হয়, ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে গত সপ্তাহ থেকে দক্ষিণাঞ্চলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মোতায়েন শুরু করে মস্কো।—রয়টার্স