ক্ষুদ্র সঞ্চয় থেকে ব্যবসা শুরু করে থাকেন নারীরা। ধীরে ধীরে চেষ্টা ও সময়ের সাথে বড় হতে থাকে তাদের উদ্যোগ। একসময় সেসব উদ্যোক্তাদের মধ্যে অনেকেই অর্থের সংকটে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।
আবার লক্ষ্য পূরণে তাদের মধ্যে কেউ নিয়ে থাকেন উচ্চ সুদে ঋণ। স্বল্প ঋণ নিয়ে কেউ কেউ সফল হলেও উচ্চ সুদের চাপে সব হারিয়েছেন অনেকে। এতে ব্যবসা ছোট বা বন্ধ করতে হয়েছে তাদের।
তাই এসব নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষভাবে কাজ করছে দেশের পুঁজিবাজার ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ব্যক্তি বিনিয়োগকারী রয়েছেন। এর মধ্যে ৪ লাখ ৩২ হাজার নারী বিনিয়োগকারী। যা পুরুষের এক তৃতীয়াংশ।
দেশের অর্থনীতিতে নারীদের অবদান রাখতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নের কথা জানান বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রবিাইয়াত-আল-ইসলাম।
তিনি বলেন, 'মানি মার্কেট আর ক্যাপিটাল মার্কেট যদি তার নিজ রোল প্লে করে এবং সেখানে যদি ঠিকভাবে কাজ করা হয়, তখনই এ যৌথ শক্তি একটা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আমরা বারবার বলছি স্বল্প-মধ্যমমেয়াদী যেসব ব্যবসা, সেগুলো মানি মার্কেটের ক্যারেক্টার অনুযায়ী সেখানেই হওয়া উচিত। এবং দীর্ঘমেয়াদী যেসব ব্যবসার অর্থ দরকার সেগুলো ক্যাপিটাল মার্কেট থেকেই হওয়া উচিত।'
অপরদিকে অর্থনীতির তুলনায় পুঁজিবাজার সে রকম এগোয়নি বলে জানান স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, 'আমরা যখন পুঁজিবাজারে নারী কথা বলতে যাই, তখন অবশ্যই বলতে হবে যে পুঁজিবাজারটা একটা বিশেষায়িত ক্ষেত্র। এবং সেখানে আমাদের নারীর অংশগ্রহণ অন্যান্য ক্ষেত্রে যতটা অগ্রসর হয়েছে পুঁজিবাজারে আমরা এখনও ততদূর পৌঁছাতে পারিনি। অনেক ক্ষেত্রে দক্ষতার কমতি আছে বলে নারীরা অংশ নিতে পারে না। তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।'
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের রয়েছে আস্থার সংকট। এ সংকট কাটিয়ে উঠলে ও নারীদের অভিজ্ঞাতা বাড়ানো গেলে পুঁজিবাজারে আগ্রহ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন বিশ্লেষকরা।





