পরিষেবা
অর্থনীতি
0

নিজস্ব জ্বালানি সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলছেন ব্যবসায়ীরা

বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়াতে হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে সংকট তৈরি হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার সমাধান চান ব্যবসায়ীরা। তাই নিজস্ব জ্বালানি সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলছেন ব্যবসায়ীরা। আর সরকার বলছে লুটপাটের রাস্তা বন্ধ করে সক্ষমতা বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে নতুন উদ্যোগ।

দীর্ঘ প্রক্রিয়া আর বেশি ব্যয়ের অজুহাতে নতুন করে অনুসন্ধান না করে বরং গ্যাস আমদানির ক্ষেত্র তৈরি করেছিলো আওয়ামী লীগ সরকার। যার ফলে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কমলেও বেড়েছে খরচ। আমদানিকৃত গ্যাসে চড়ামূল্যে উৎপাদিত বিদ্যুতের ক্যাপাসিটি চার্জ চেপেছে জনগণের ওপর।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত জ্বালানির দাম ও সরবরাহ নিয়ে সেমিনারে ব্যবসায়ীরা বলেন, বিগত সরকারের আমলে জ্বালানির সংকট দেখিয়ে কম সরবরাহ হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ায় নানামুখী সংকটে তারা। সমাধানে ফলপ্রসূ আলোচনা চান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে।

আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, জরুরি অবস্থায় আমদানি করলেও নিজস্ব গ্যাস উত্তোলনের বিকল্প নেই। তবে সক্ষমতা বাড়াতে হবে পেট্রোবাংলার। আর বিদ্যুৎ অপচয় কমাতে হবে শিল্পখাতে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘ডলারের সমস্যা হলে তখন বিদ্যুৎ অপচয় কমাতে।’

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, ‘এইটা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে নিজস্ব গ্যাস কূপ অনুসন্ধান করা ও উত্তোলন করা।’

অপার সম্ভাবনাময় ভোলার গ্যাস বারবার আলোচনা হলেও যুক্ত করা হয়নি জাতীয় গ্রিডে। তবে, এখানকার গ্যাস সিএনজি আকারে ঢাকায় আনতে রাজনৈতিক বিবেচনায় দায়িত্ব দেওয়া হয় বিনা টেন্ডারে। ডিসিসিআইয়ের আলোচনায় বিদ্যুৎ জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, শিগগিরই আবারও ভোলার গ্যাসের টেন্ডার উন্মুক্ত করা হবে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল করিম খান বলেন, ‘টাকা হাত বদল করার দরকার নেই। আপনি যদি ভালো উদ্যোক্তা হন এবং ফিনান্সিয়ালি ভালো অবস্থায় থাকে তাহলে আপনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগে ব্যবসা করতে পারবেন।’

বিগত সরকারের মতো সম্পর্কের ভিত্তিতে নয়, বরং উন্মুক্ত দরপত্রে বিদ্যুৎ জ্বালানির প্রকল্প দেওয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রতি সপ্তাহেই ছাড়া হবে দরপত্র। পেট্রোবাংলার সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সেমিনারে ছাদ ও কৃষিতে সোলার বাস্তবায়নের পাশাপাশি, চাহিদা কম থাকলেও ক্যাপাসিটি চার্জ বিফলে না যেতে উৎপাদন ঠিক রেখে বিদ্যুৎ বিক্রিতে পরামর্শ দেন বক্তারা।

ইএ