পরিষেবা
অর্থনীতি
0

সিলেট বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পে ধীরগতি, ৪ বছরে বাস্তবায়ন এক চতুর্থাংশ

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে ২ হাজার ১শ' ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালে শুরু হয় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্প। সুপরিসর বিমানের পার্কিং সুবিধা, প্যাসেঞ্জার হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন, আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবন, কার্গো ভবনসহ নানা অবকাঠামোগেত কাজ শুরু করে বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ। ৪ বছরে প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে মাত্র এক চতুর্থাংশ।

আজ (শনিবার,৩১ আগস্ট) দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত টার্মিনাল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুরুল কবির ভুঁইয়া। জমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতা দ্রুত কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশার কথা জানান।

সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মনজুরুল কবির ভুঁইয়া বলেন, 'আমাদেরকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে যেখানে লাভ-ক্ষতি সবকিছুই থাকবে। আমরা যদি সামগ্রিকভাবে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে পারি তাহলে প্রজেক্টা এগিয়ে যাবে।'

অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে বড় বড় প্রকল্পের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা তাগিদ থাকায় গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ । তদারকির জন্য গঠন করা হবে একটি স্টিয়ারিং কমিটি।

কার্গো এরিয়াতে আর একটু আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য ছোট খাটো পরিবর্তন করতে যেয়ে আর একটু বড় পরিবর্তন হয়েছে বলেও জানান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মনজুরুল কবির ভুঁইয়ান

সিলেট বিমানবন্দরে বর্তমানে এপ্রোচের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বছরে ৪০ হাজার টন, সেটিকে এক লাখ টনে উন্নীতের লক্ষ্য নতুন কর্তৃপক্ষের। । উন্নয়ন কাজের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা রাখার পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে কাজ সম্পন্নের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।

মোঃ মনজুরুল কবির ভুঁইয়া আরো বলেন,' আমাদের আশা থাকবে যতদ্রুত শেষ করা।'

২০০২ সালে সিলেট বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে ২০০৬ সাল থেকে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উঠা নামা শুরু করে বিমান বন্দরটিতে।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর