পরিষেবা
অর্থনীতি
0

পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষক আন্দোলন; অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সবশেষ তা কর্মবিরতিতে চলে গেছে। শিক্ষকদের এই আন্দোলন ও বিভিন্ন ধরনের গুজব প্রতিরোধে প্রত্যয় স্কিমসহ সার্বিক বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি চাকরিরত আছেন তারা পূর্বের ন্যায় সব পেনশন সুবিধা পাবেন। নতুন পদ্ধতি অনুসারে কেবল ২০২৪ সালের ১ জুলাই বা তৎপরবর্তীতে যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মচারিরা নিয়োগ পাবেন- তারাই সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

আজ (মঙ্গলবার, ২ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, ১ জুলাই থেকে যাত্রা শুরু করেছে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয়’ স্কিম। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে অন্যান্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়েছে।

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ১৪ (২) ধারা অনুযায়ী, দেশের সব মানুষের জন্য পেনশন স্কিম প্রবর্তনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সব কর্মচারি বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন।

অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, ১ জুলাই ২০২৫ বা তার পরবর্তীতে যোগদানকারী সরকারি কর্মচারিরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবেন।

মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা আরও বলা হয়েছে, কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন-প্রাপ্ত হন। সেজন্য এটিকে নতুন নিয়োগ হিসেবে গণ্য করা হয় না। সেক্ষেত্রে তার বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারি যারা ২০২৪ সালের ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন কেবল তারা প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন প্রাপ্তির উল্লেখ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর থেকে অবসরে যাবেন বিধায় ৬৫ বছর থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। এক্ষেত্রে সরকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।—প্রেস বিজ্ঞপ্তি