পরিষেবা
অর্থনীতি
0

সমস্যা নিয়েই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল

জলাবদ্ধতা, কাউন্টারে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়া, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা এমন নানা সমস্যা নিয়েই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল। ঈদুল আজহার আগেই খুলে দেয়া হচ্ছে বাস টার্মিনালটি। যদিও মেয়র বলছেন, টার্মিনাল চালু হলে রাজধানীতে কমে যাবে যানজট।

২০২২ সালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয়। আধুনিক এই টার্মিনালটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। অথচ সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এখনো অনেক জায়গাতেই কাজ শেষ হয়নি। বাস কর্তৃপক্ষদের মাঝে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। অনেকেই জানান, এখনো বৃষ্টি হলে পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এছাড়াও তৈরি হয়নি বাসস্ট্যান্ডের নতুন গেট।

বাস কর্তৃপক্ষদের একজন বলেন, 'আগে পানি জমতো তবে নতুন করে ড্রেন করার পরেও জলাবদ্ধতা নিরসণ হচ্ছে না।'

আরেকজন বলেন, 'বৃষ্টির সময় বসা মুশকিল সেডের ভিতরে। বাইরে যেমন পানি পড়ে তেমন ভিতরেও।'

যদিও মেয়রের দাবি, কাজও শেষ প্রায় শতভাগ। শুধু বাকি আছে আধুনিক লাইট প্রতিস্থাপনের কাজ।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, 'একটি বাস ৩০ মিনিট সময় পাবে। ৩০ মিনিটের মধ্যে যাত্রী উঠানামা কাজ করবে। শ্রমিকদের জন্য আলাদা ঘর করে দেয়া হচ্ছে সেখানে তারা বিশ্রাম নিবে। যাত্রীদের জন্য বৃহৎ হল রুম করা হচ্ছে সেখানে তারা ডিসপ্লেতে বাসের সময় সূচি দেখতে পাবে ও বিশ্রাম নিতে পারবে।

রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, প্রায় ১০ একর জমির উপরে এটি নির্মিত হয়। রাজধানীর যেকোন প্রান্ত থেকে খুব সহজেই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছানো যায়। দেশের যেকোন প্রান্তের বাসই এখান থেকে ছেড়ে যায়।

১৯৮৪ সালের ডিসেম্বরে ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনাল বিকেন্দ্রীকরণ করে সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালীতে তিনটি বাস টার্মিনাল স্থানান্তর করা হয়। প্রায় তিন যুগ পর দুবছর আগে ৩০ কোটি টাকা প্রকল্প সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ডটি আধুনিক করার কাজ হাতে নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এতে থাকছে গাড়ি রাখার শেড, টিকিট কাউন্টার, চালকদের বিশ্রাম ঘর, খাবার দোকান, গণ-শৌচাগারসহ সব আধুনিক সুযোগ সুবিধা।

মেয়র বলেন, 'সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ডটি আধুনিক করার যে কার্যক্রম নিয়েছি তা জুনের মধ্যে উদ্বোধন করতে পারবো। ঢাকা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যত্রতত্র যে কাউন্টার আছে গণ-পরিবহনের সেগুলো সবকিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। সায়েদাবাদ বাস কাউন্টারের অভ্যন্তরে যাত্রী সেবা নিশ্চিত হবে।' 

এদিকে পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে পরিবহন খাতকে আধুনিকায়নের থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হক বলেন, 'সমস্যার মূলে না গিয়ে আমি যদি উপরে এইসব ভারি কথা বলি কিছু প্রজেক্ট হবে কিন্তু সমস্যা সমাধান হবে না। মূল কারণ কিন্তু টার্মিনাল না কারণ হলো বিশৃঙ্খলা, টার্মিনালে বাস রাখা হয় কোনো রকম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই।'  

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর