ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, 'মন্ত্রিসভায় ‘জাতীয় লজিস্টিক্স নীতি ২০২৪’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পণ্য পরিবহনে খরচ ও সময় কমানো এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখাসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে নিয়ে দেশের প্রথমবারের মতো এই নীতিমালা করেছে সরকার।'
মাহবুব হোসেন বলেন, 'আমদানি-রপ্তানিসহ সামগ্রিক বাণিজ্যে লজিস্টিক্স সহায়তার গুরুত্ব অপরিসীম। মোট খরচের একটি অংশ এখানে হয়। তাই নির্ধারিত সময় বা স্বল্পতম সময়, স্বল্পমতো ব্যয়, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা যাতে স্বাভাবিক হয় সেটি নিশ্চিত করার জন্য সব মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে তার দিক নির্দেশনা রয়েছে নতুন এই নীতিমালায়।'
পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তার বিষয়ে দিক নির্দেশনার কথা রয়েছে এই নীতিমালায়।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'মন্ত্রিসভা মনে করে এই নীতি সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। খসড়া নীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি কাউন্সিল থাকবে। এতে আটজন মন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা থাকবেন। এই কাউন্সিল সামগ্রিক দিক নির্দেশনা দেবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে সমন্বয় কমিটি থাকবে।'
লজিস্টিক্সের মূল বিষয় হলো ক্রেতার চাহিদা পূরণের জন্য 'পয়েন্ট অব অরিজিন' ও 'পয়েন্ট অব কনজাম্পসন' এর মাঝে পণ্য ও সেবার সঞ্চালন করা। লজিস্টিক্স মূলত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানি সক্ষমতা বজায় রাখা, ক্রমবর্ধমান পণ্যমূল্যে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জন, পরিবহনে সময় কমানো, সার্বিক ব্যয় কমানোয় লজিস্টিক্স খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া জিপিএস ট্র্যাকিং ও কানেক্টিভিটি হাব অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটি কানেক্টিভিটি হাব হবে, সেখানে পণ্য সরবরাহের জন্য ওয়ারহাউস (গুদামঘর) ও পণ্য যাতে পচে না যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।
রপ্তানি কিংবা স্থানীয় বাজারের জন্য পণ্যের অবাধ যাতায়াতের কথা এই আইনে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মাহবুব হোসেন বলেন, এই সংক্রান্ত সব নীতিমালা সংশোধন করে তা ব্যবসাবান্ধব করতে বলা হয়েছে। কোনটা পিপিপি হবে, কোনটায় সরকার বিনিয়োগ করবে, সেই তালিকাও রয়েছে। ১০৬ ধরনের পেশার কথা হয়েছে, সেখানে ৫২ ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণও রয়েছে। সর্বনিম্ন কতঘণ্টার প্রশিক্ষণ হবে, তারও একটা বিধানের কথা রয়েছে।