টিকিট নেই অথচ ফ্লাইট খালি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ হরহামেশাই পাওয়া যায়। গেল ১৪ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ফারুক আহমেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে ফের আলোচনায় আসে বিষয়টি। শুরু হয় সমালোচনা। ফারুক আহমেদের পোস্ট কপি করে নিজের মন্তব্য জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে তা রিপোস্ট করেন আরেক ইতালি প্রবাসী আওয়ামী নেতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব সমালোচনার জবাব দিতে রোববার (২৪ মার্চ) বলাকায় ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে বিমান। সংস্থাটির মার্কেটিং বিভাগের দাবি, ২০১৯ সাল থেকে কোন এজেন্সির কাছে বাল্ক বা নাম পাসপোর্টহীন টিকিট বিক্রি করেনি বিমান। আর এজেন্সির টিকিট সময়ভেদে ৩ ঘণ্টা থেকে ৭ দিনের বেশি টিকিট ব্লক করে রাখারও সুযোগ নেই।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিপণন ও বিক্রয় পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বলেন, 'বাল্কের কোনো সিন্ডিকেট বা বাল্কের কোনো অপশন বাংলাদেশ বিমান গত ৪ বছর ধরে কোনো নাম ছাড়া টিকিট বিক্রি হয়নি। যদি করে থাকে তাহলে এর দায়ভার আমার।'
বিমান টিকিটের সিন্ডিকেট ও কালোবাজারির অভিযোগের বিষয়টিতে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম। তিনি বলেন, 'যে ভদ্রলোক ছবি পোস্ট দিয়েছে, ওই সপ্তাহে ওই রুটে আমাদের যাত্রী অ্যাভারেজ ছিল ৮৬ শতাংশ।'
বিমান এমডি বলেন, ‘যার মাধ্যমে এই পোস্ট ছড়িয়েছে তিনি সেটি এজেন্ট থেকে শুনেছেন। কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে নয়। বিমানের কেউ টিকিট সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
তিনি জানান, সেবার মান বাড়াতে চালু করা হয়েছে বিমানের স্মার্ট কল সেন্টার। যেখানে এক সঙ্গে সর্বোচ্চ ২৫৪টি কল গ্রহণ ও সেবা দেয়া সম্ভব হবে। এমডির আশা, এই কল সেন্টার বিমানের সঙ্গে যাত্রীর দূরত্ব ঘোচাবে।