২০২২ সালে ৮৯ টাকার অকটেন হয় ১৩৫ টাকা ও ৮৬ টাকার পেট্রোল হয় ১৩০ টাকা। আর ৮০ টাকার ডিজেল-কেরোসিন হয় ১১৪ টাকা। জ্বালানি তেলের মূল্য হঠাৎ এতোটা বাড়ায় চতুর্মুখী খড়গ হয় জনসাধারণের। যদিও সমালোচনার মুখে এক মাসের মাথায় দাম কমে মাত্র ৫ টাকা।
এবার দাম কমতে পারে এমন খবরে স্বস্তি মিলছে কিছুটা। যদিও কতোটা কমবে তা জানেন না ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল কিংবা গণপরিবহনের চালকরা। তবে ভাড়া কমানোর প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
বিপিসির এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সাত বছরে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে সংস্থাটি। তবে ২০২১-২২ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে ২ হাজার কোটি টাকা লসের মুখে পড়ে সংস্থাটি। সব মিলিয়ে ৯ বছরে বিপিসির নিট মুনাফা ৪৪ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা। তবে এতো বছর পর স্বস্তির খবর হলেও জ্বালানির দাম খুব একটা কমাতে পারবে না তারা। কারণ, ১০৯ টাকার প্রতি লিটার ডিজেলে তাদের লাভ থাকে ৪ টাকা। লভ্যাংশ ছাড় দিলে সর্বনিম্ন দাম হবে ১০৫ টাকা। আর ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যবহৃত হয় বলে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে পেট্রোল-অকটেনের দাম কমপক্ষে ১০ টাকা বেশি থাকবে ডিজেলের তুলনায়।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে তেলের দাম ওঠানামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। সেই সিদ্ধান্ত থেকেই বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।
তবে, কেনা দামের সঙ্গে খুব বড় তফাৎ না হলে দেশেও দাম সমন্বয় হবে না বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘দামের তফাতের ওপর নির্ভর করেই মূল্য সমন্বয় হবে। প্রতি মাসেও হতে পারে, নাও হতে পারে। তেলের দাম উঠানামা করলে পরিবহন খাতকেও সেভাবে ভাড়া কমা বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া থাকবে।’
দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রতি বছর গড়ে ৭০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে অকটেন আমদানি করতে হয় চাহিদার ৪০ শতাংশ আর ডিজেল, জেট ফুয়েল ও ফার্নেস ওয়েল পুরোটাই আমদানিনির্ভর।