বিমানের দুর্বল সেবার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং জাপানি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। অথচ এই টার্মিনালের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে থাকলেও জাপানি কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়নি সিভিল অ্যাভিয়েশনের।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে আবারও আলোচনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যদিও শুরু থেকেই তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ধরে রাখতে মরিয়া ছিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। কর্তৃত্ব ধরে রাখতে এরই মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকার সরঞ্জাম কিনেছে তারা। নিয়োগ দিয়েছে ৫শ' এর বেশি জনবল। শেষ করতে যাচ্ছে জাইকার সহযোগিতায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ক দুই বছরের প্রকল্প।
এই প্রকল্পের আওতায় বিমানকে র্যাম্প হ্যান্ডলিং, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছে জাপান। কয়েকজন কর্মকর্তাকে জাপানে নিয়েও দেয়া হয়েছে উচ্চতর প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষকরা বলছেন, এ প্রকল্প বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বদলে দিয়েছে।
বর্তমানে ল্যান্ড করার পর যাত্রীদের প্রথম লাগেজটি ১৮ মিনিট ও শেষ লাগেজটি এক ঘন্টার মধ্যেই দিতে সক্ষম হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মীদের আচরণের উন্নতি হয়েছে দাবি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি শফিউল আজিম বলেন, ‘এ প্রশিক্ষণকে ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় বিমান।’
বর্তমানে দেশের সব বিমানবন্দরে এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিয়ে হাজার কোটি টাকা আয় করে থাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।