আজ (শনিবার, ২৬ অক্টোবর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৪টি ট্রাকে ৯৯১ টন ইন্দোর, নাসিক, সাউথ ও নগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজের মধ্যে নাসিক জাতের পেঁয়াজ বন্দরে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি দরে, যা তিনদিন আগেও ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি ছিল।
সাউথ ও নগর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকা আর ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা কেজি দরে। যা তিনদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। আর বন্দর এলাকার খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘হঠাৎ করে আজ বাজারে বিকেল থেকে পেঁয়াজের দাম বেশি। গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ কিনলাম ৮৫ টাকায় আজ কিনতে হচ্ছে ১০০ টাকায়। দাম বাড়ায় পেঁয়াজ কিনতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ী শাকিল আহম্মেদ বলেন, ‘বন্দরে কোন অযুহাত ছাড়াই আমদানিকারকরা হঠাৎ করে আজ পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বন্দরে পাইকারিতে যে-সব পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০টাকায় কিনেছি আজকে সেই পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হলো। হঠাৎ করে দাম বাড়ার কারণে আমাদের পেঁয়াজ কিনতে ও বিক্রি করতে সমস্যা হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, ‘দেশের বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদাও দামের ওপর প্রভাব ফেলছে। দিপাবলি উপলক্ষে ভারতের পাইকারি আড়তগুলোতে ৮ দিন পেঁয়াজ কেনাকাটা বন্ধ থাকবে। ফলে পেঁয়াজের আমদানি ও সরবরাহ কিছুটা কমে যাবে। এ কারণেও দাম বেড়েছে।’
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাম আবারো স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে তিনি জানান। হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে ভারত থেকে প্রায় ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।