প্রসঙ্গত, গত সোমবার বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তির আওতায় তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের অনুমোদন দেয় আইএমএফ। ওইদিন ওয়াশিংটনের সদর দপ্তরে সংস্থাটির নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই কিস্তির অনুমোদন দেয়া হয়।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আইএমএফের ঋণের কিস্তির অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়েছে। এতে করে রিজার্ভের পরিমাণও বেড়েছে।
এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির অধীনে এই অর্থছাড় দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত সফর করে আইএমএফের প্রতিনিধি দল। সফর শেষে ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ে শর্ত বাস্তবায়ন ও অর্থনীতি সংস্কারের বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সংস্থাটি।
তবে তার আগে রিজার্ভ ছাড়াও রাজস্ব আদায়, পুঁজিবাজার শক্তিশালী করা, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত ও ভর্তুকি নীতি সংস্কারসহ নানা বিষয়ের শর্ত পূরণ করতে হবে বাংলাদেশকে।
এছাড়া পূর্বে দুই কিস্তিতে ঋণের অর্থ দিয়েছে আইএমএফ। প্রথম দফায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশকে ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এবং একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় দফায় ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার অর্থছাড় করে সংস্থাটি।
সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে ২৩০ কোটি ৭৩ লাখ ডলার অর্থছাড় করেছে আইএমএফ। সে হিসাবে ঋণচুক্তিতে বকেয়া থাকছে আরও ২৩৯ কোটি ২৭ লাখ ডলার।
আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়াও আজ কোরিয়া, আইবিআরডি, আইডিবি ও অন্যান্য উৎস থেকে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার।