চুক্তি
অর্থনীতি
0

'অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঢাকা-নয়াদিল্লির চ্যালেঞ্জ আলোচনায় সমাধান সম্ভব'

অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঢাকা ও নয়াদিল্লির সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, আলোচনার মাধ্যমেই তা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পালাম বিমানবন্দর থেকে হোটেল তাজ প্যালেস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে সাজানো হয়েছিলো বিভিন্ন ভাষায় নানা প্ল্যাকার্ড।

সফরের প্রথমদিন শেখ হাসিনার সাথে নয়াদিল্লির হোটেল তাজ প্যালেসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে আলোচ্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।

আজ (শনিবার, ২২ জুন) মোট ১৪টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে কিছু পুরাতন সমঝোতা স্মারক নবায়ন হতে পারে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ট্রেন, সরবরাহ, সংযোগ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরও গুরুত্ব নিয়ে কাজ করতে চায়।'

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের ব্যবসায়ী নেতারা। সেখানে তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান সরকারপ্রধান।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং এবং দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান। পরে ভারতের ঐতিহ্যবাহী নাচের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করা হয়।