আজ বিকেলে নাগাদ একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা আসবেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে তাকে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। প্রদান করা হবে গার্ড অব অনার।
আগামীকাল (২৩ এপ্রিল) সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের আমির। বৈঠকের পরই দুদেশের মধ্যে ৬টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এদিন বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। অংশ নেবেন রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন এই আমির।
এ বিষয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এই সফরে কাতারের আমিরকে এক বছরের জন্য বাকিতে জ্বালানি কেনার প্রস্তাব দেওয়া হবে। দু'দেশের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তিগুলো হচ্ছে– দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পণ্য পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন-সংক্রান্ত চুক্তি। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে– শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, এই সফরে ঢাকার একটি সড়ক কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হবে। মিরপুরের কালশীতে বালুর মাঠের নির্মানাধীন পার্ক ও ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি তার নামে নামকরণ হবে।
এই সফরের মধ্য দিয়ে প্রায় বিশ বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের কোন আমির। আর বর্তমান আমিরেরও প্রথম বাংলাদেশ সফর এটি।
এদিকে কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরের খবরে খুশি কাতারে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা আশা করছেন, এ সফরে জোরদার হবে দু'দেশের সম্পর্ক। এছাড়া নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচন হবে বলেও মনে করেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।