শিল্প-কারখানা
অর্থনীতি
0

কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা, পুরোদমে চালু পোশাক কারখানা

হাজিরা বোনাস ২২৫ টাকা বাড়ানোসহ পোশাক শ্রমিকদের ১৮টি দাবি মেনে নেয়ায় পুরোদমে চালু সব কারখানা। সকাল থেকে কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা। তবে আর্থিক সংকটে বেতন না দিতে পারায় এখনও বন্ধ সাভারের ১৪টি কারখানা আর ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি। নতুন করে কোন সংকট দেখা না দিলে ওভারটাইম করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কথা বলছেন বলছেন কারখানা মালিকরা।

গেল তিন সপ্তাহ ধরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় পোশাক খাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পর বিজিএমইএ শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ায় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা।

কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে সাভারের প্রতিটি পোশাক কারখানা। স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎপাদন শুরু করেছেন শ্রমিকরা। এসময় দাবি মেনে নেয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা। তবে বেশ কিছুদিন পোশাক খাতের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে ওভারটাইম করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার কথা বলছেন কারখানা মালিকরা।

শ্রমিকরা জানান, আমাদের ন্যায্য অধিকার আমরা ফিরে পেয়েছি। আমরা এখন গার্মেন্টেসে ঠিকভাবে কাজ করতে চাই। এছাড়া দাবি দাওয়া মেনে নেয়াতে খুশি শ্রমিকরা।

এছাড়া শ্রমিকরা আরো জানান, আন্দোলন চলতে থাকলে তা শ্রমিকদের জন্যই ক্ষতি।

এদিকে, এখনও বন্ধ রয়েছে ১৪টি কারখানা আর ৫টি কারখানায় দেয়া হয়েছে সাধারণ ছুটি। যার মধ্যে ৪টি ইপিজেডের। বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর বেশিরভাগই আর্থিক সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে বলছে মালিকপক্ষ।

বায়ারদের অর্ডারের যে গতি ছিল তা কমে গেছে। এই আন্দোলনের কারণে আমরা এই গতি থেকে বঞ্চিত হয়েছি। অনেক বায়ারদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে এবং অর্ডার বাতিল হওয়ার সম্ভবনা আছে। এরই মাঝে বাতিল হয়েছে অনেক অর্ডার।

শিল্প পুলিশের এসপি সারোয়ার আলম জানান, এখনও বন্ধ রয়েছে ১৪টি কারখানা। যার মধ্যে ৪টি ইপিজেডের আর ৫টি কারখানায় দেয়া হয়েছে সাধারণ ছুটি। বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর বেশিরভাগই সময়মতো বেতন পরিশোধ না করার কারণে বন্ধ আছে।

এদিকে, গাজীপুরেও পোশাক কারখানাগুলোতে কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা। স্বাভাবিকভাবে চলছে উৎপাদন কার্যক্রম। ফ্লোরে ফ্লোরে আবারও পুরোদমে চলছে সুঁই সুতার বুনন। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বিদেশে বায়ারদের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পোশাক খাতে। অনেক কারখানায় কমেছে অর্ডার।

এদিকে, আজও গাজীপুরের ছয়দানা এলাকায় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তৈরি হয় যানজট। তবে কারখানা এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে শিল্প পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী।