দেশের প্রধান রপ্তানি খাত পোশাক শিল্প। তবে জুলাই আন্দোলন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগে এই শিল্পে কয়েক দিনেই ক্ষতি হয়েছিলো প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলো ব্যবসায়ীরা। তবে আকস্মিক বন্যায় ফের ক্ষতির মুখে এই শিল্পের সাথে জড়িতরা।
সংকট কাটিয়ে কিভাবে আবার ঘুরে দাঁড়ানো যায় তাই নিয়ে দিনভর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেন পোশাক খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। এফবিসিসিআই, বিকেএমইএ, বিজেএমইএসহ এই শিল্পের সাথে জড়িত সংগঠনের নেতারা তাদের দাবি তুলে ধরেন। দ্রুত ও সহজ শর্তে এ মূহূর্তে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ প্রয়োজন বলে জানান তারা।
বিজেএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, 'চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের কারখানাগুলো ১৬ দিন যাবত প্রোডাক্টশন করতে পারেনি। যার ফলে আমাদের আগামী মাসে ক্রাইসিস দেখা দিতে পারে। ১ বছরের মধ্যে পে ব্যাক করার শর্তে আমরা উপদেষ্টার কাছে একটা স্ফট লোন চেয়েছি।'
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বেশিরভাগ কারখানাগুলো রয়েছে নিরাপত্তাহীনতায়। তাই অনেকেই তাদের ক্রেতা হারাচ্ছেন। এছাড়াও বন্যার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক কার্গো আটকে আছে জানিয়ে সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান ব্যবসায়ীদের।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, 'আমরা আমাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। এনবিআরের সমস্যা, এলসি সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। বিশেষ করে ইসলামী ৬ ব্যাংকের যে এলসির জন্য পে মার্জিন চাওয়া হচ্ছে সেগুলো উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হচ্ছে এইটা অর্থ সচিবের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।'
এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, 'এয়ারপোর্টের থেকে একটা স্যাম্পল কালেক্ট করতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে এইসব সমস্যা তার কাছে তুলে ধরা হয়েছে।'
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, ব্যবসায়ীদের দাবি দাওয়া নিয়ে গভর্নরের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'তাদের সাথে আলোচনা করে অনেক সমস্যার কথা পেয়েছি। সেগুলো বেশি বড় কিছু না। আগের সরকার এইগুলো ইগনোর করেছে। এখন আমরা সমাধান করার চেষ্টা করবো।'
এদিকে সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সাথে বৈঠক করেন অর্থ উপদেষ্টা। জানান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দ্রুত ফেরাতে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য সরকার।