স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পণ্যের ৭০ শতাংশই আসে বেনাপোল দিয়ে। দেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয় এ বন্দরে। প্রতিবছর যে আয় হয় তার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও ব্যাংকে ডলার সংকটের কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে পড়ে নেতিবাচক প্রভাব। আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র খুলতে কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে শতভাগ অর্থ আগাম পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন অনেকে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে আমদানিকারকদের অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বন্দরের নানা সংকটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে রপ্তানি কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করেন তারা। কাজ কমেছে বন্দর শ্রমিকদেরও।
এদিকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছেন, গেল জুলাই-আগস্টে আমদানি-রপ্তানি কমলেও বর্তমানে তা বাড়ছে। এভাবে চললে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণও সম্ভব হবে বলে মনে করেন তারা। আর বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, কর্মঘণ্টা কমলেও আমদানি রপ্তানি কমেনি।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত দেড় মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেনাপোল দিয়ে পণ্য আমদানি কমেছে প্রায় দুই লাখ টন। আর রপ্তানি কমেছে ১০ হাজার টন।