কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিনিধিদের সংগঠন বায়ার্স ফোরাম। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি।
দেশে ইন্টারনেট সেবা এখনও পুরোপুরি না পাওয়ায় বাণিজ্য যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ার কথা বলছেন ফোরামের প্রতিনিধিরা। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তারা বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।
আর এ বিষয়ে পরিস্কার করেন বিজিএমইএ সভাপতি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার যে শঙ্কা ছিল ক্রেতা জোটের সাথে বৈঠকের পর তা উড়িয়ে দিলেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, 'বন্দরের কনটেইনার জট দ্রুত শেষ হয়। তার আশস্ত করেছে ৪ থেকে ৫ দিনের কারণে রপ্তানির যে সমস্যা হয়েছে তা ক্যান্সেল করা হবে না ও ডিসকাউন্টও করবে না। ইমেজ নষ্টের বিষয়ে ক্রেতারা কোনোরকম হতাশ করেনি আমাদের।'
তিনি বলেন, ‘বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে চার-পাঁচদিন কারখানা বন্ধ থাকার কারণে যেসব পণ্য সময় মত রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি, সেগুলো নিতে তারা সম্মত। তারা আশ্বস্ত করেছেন, কোনো রপ্তানি আদেশ বাতিল হবে না। কম দেয়া হবে না পণ্যের মূল্য। এমনকি আকাশপথে পণ্য পৌঁছানোর জন্য কোনো চাপ দেয়া হবে না।’
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, চলমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার জন্য ক্রেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ তৈরি না হয়, সে বিষয়ে ক্রেতাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।