প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুই ঈদের দিন ছাড়া সারাবছর সচল থাকে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দর। ডিজিটাল এই যুগে বন্দরে জাহাজ ভেড়া, পণ্য ওঠানামা, ডেলিভারি, রপ্তানি, সবই হয় অনলাইনে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায়। আর পণ্য ডেলিভারির আগে শুল্কায়ন, বন্দরের গেটে শুল্ক পরিশোধের নথি যাচাই সবই হয় অনলাইনে এনবিআরের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সার্ভারে। কিন্তু টানা চারদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সংকটে পড়ে।
মঙ্গলবার সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও সার্ভার স্লো থাকায় কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ফলে নির্ধারিত সময়ে পণ্য ডেলিভারি নিতে না পারায় পোর্ট ও শিপিং ডেমারেজ বাবদ বিপুল অঙ্কের চার্জ মওকুফের দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
এই সংকটে বন্দরের সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন ও শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করতে আসেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। গত কয়েকদিনের ঘটনায় বন্দরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পেও এর প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'গত কয়েকদিনের ধ্বংসযজ্ঞে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এতে অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'কারফিউয়ের সময়ে বন্দরে ৪ থেকে ৫ লাখ টন পণ্য হ্যান্ডলিং হলেও কাস্টম হাউসের সার্ভার অচল থাকায় পণ্য ডেলিভারি হয়নি। ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তথ্য প্রমাণসহ যথাযথভাবে দাবি উপস্থাপন করা হলে বন্দর চার্জ মওকুফ করবে।'
রেলপথে পণ্য পরিবহন বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও এ সময় জানান খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।