বাজেটে পোশাক ব্যবসায়ীদের চাহিদার প্রতিফলিন হয়নি: বিজিএমইএ

0

প্রস্তাবিত বাজেটে তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীদের চাহিদার কিছুই প্রতিফলিত হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান। আজ (শনিবার, ৮ জুন) সকালে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও বিটিএমএ এর যৌথ সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।

অপর এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যন্ত্রাংশ আমদানিতে নতুন করে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপ বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৩ বিলিয়ন ডলার যা গেল অর্থ বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।

এগারো মাসে প্রবৃদ্ধির এমন চিত্র দেখলেও মাসের হিসাবে কমেছে পোশাক রপ্তানি। যেখানে শুধু মে মাসেই কমেছে ১৭ শতাংশ। একইসাথে ন্যায্যমূল্যের দৌঁড়ে পিছিয়ে পড়েছে রপ্তানিকারকরা। গেল ৯ মাসে তৈরি পোশাকের দরপতন হয়েছে ৮ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত। এছাড়া অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে নগদ সহায়তা কমিয়ে আনায় কপালে ভাঁজ পড়ে পোশাক রপ্তানিকারকদের।

এমন পরিস্থিতিতে বাজেটে পোশাক শিল্পের রপ্তানির বিপরীতে উৎসে কর ও নগদ সহায়তার ওপর আয়কর হার কমানোসহ পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে বিশেষ নীতি সহায়তার দাবি ছিল শুরু থেকেই। তবে বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন নেই বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ।

বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান বলেন, 'বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের প্রধান এ খাতটির জন্য কিছু নীতি সহায়তার প্রস্তাব দেয়া হলেও বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের মূল প্রস্তাবগুলো বাচেটে প্রতিফলিত হয়নি।'

বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক প্রস্তাবগুলোকে পোশাক মালিকরা সাধুবাদ জানালেও উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর দাবি না মানায় শিল্প যেমন বাধাগ্রস্ত হবে তেমনি নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে না বলে মনে করেন তারা।

বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, 'বর্তমান সংকট মোকাবিলায় আমাদের ইন্ডাস্ট্রির প্রায় ৮০ শতাংশ এখন আইসিইউতে আছে। এটা বের করতে না পারলে এরপর এটা লাইফ সাপোর্টে চলে যাবে। সেখান থেকে শেষ হয়ে যাবে।'

তৈরি পোশাক শিল্পের ঝুট সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৭.৫ শতাংশ মূসক ও তা থেকে উৎপাদিত ফাইবারে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মূসক দিতে হয়। যা থেকে বছরে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন কেজি সুতা উৎপাদন করা সম্ভব। তবে সাড়ে ২২ শতাংশ মূসকের ফলে ঝুট দিয়ে ফাইবার তৈরিতে খরচ পড়বে বেশি। বাজেটে এ দাবিটি ও উপেক্ষা করায় তৈরি পোশাকের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন।

প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকে সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যেত বলে মনে করেন পোশাক মালিকরা। এদিকে বাজেটে অর্থনৈতিক অঞ্চলে যন্ত্রাংশ আমদানিতে নতুন করে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপ বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাহবুবুল আলম।

মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর সীমা সাড়ে ৪ রাখ করার বিষয়টি বাজেটে পুনঃবিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

এসএস

আরও পড়ুন:
এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
No Article Found!