আমদানি-রপ্তানি
অর্থনীতি
0

'ডলার সংকটে পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ রাখায় লোডশেডিং করতে হয়েছে'

ডলার সংকটের কারণে বন্ধ রাখতে হয়েছে পাওয়ার প্ল্যান্ট। তাই সক্ষমতা থাকতেও এপ্রিলজুড়ে প্রচণ্ড দাবদাহে লোডশেডিং করতে হয়েছে বলে জানালেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 'এখন টিভি'কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এ অবস্থায় ডলারের দাম আরও বাড়ায় জ্বালানি আমদানি ও খরচ বাড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদনে। শিগগিরই সমাধান কাটছে না বলে পরিস্থিতি সামাল দিতে গরমের মৌসুমের আরও কিছু দিন লোডশেডিং হবে, তবে তা হবে শহর ও গ্রাম ভাগাভাগি করে।

বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ টানা তাপপ্রবাহে গেলো এপ্রিলে বিদ্যুতের চাহিদা ও উৎপাদনও ছিলো সর্বোচ্চ। ২২ এপ্রিল একদিনের রেকর্ড উৎপাদন ছিলো ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছিলো ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তারা। এরপরেও এই গরমের মৌসুমে লোডশেডিং করতে হয়েছে প্রতিদিন আড়াই হাজার মেগাওয়াটের বেশি।

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার মেগাওয়াটে। এর পরেও ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে কেন আড়াই হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে তার উত্তর দিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খণিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বললেন, ডলার সংকটের কারণে বন্ধ রাখতে হয়েছে পাওয়ার প্ল্যান্ট। আভাস দিলেন, ডলারের দাম বাড়ায় বাড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ও জ্বালানি তেলের দাম।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। সার্বক্ষণিক জ্বালানির ব্যবস্থা করাতে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো দেরি করেছে। তারা সময় মতো চালু করতে পারে নাই। তাদের অর্থের সমস্যা ছিল, বিল পাচ্ছিল না। ডলারের স্বল্পতা ছিল ও তেলের বিল পায়নি। কিন্তু এখন আবার ডলারের দাম বেড়ে গেছে।'

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, গরম মৌসুম শেষ হওয়ার আগে আরও কিছু লোডশেডিং করতে হবে। তবে তা সামাল দিতে গ্রাম-শহরের লোডশেডিং সমন্বয়ের পরিকল্পনা করছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, 'এখন আবার লোডশেডিং করতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় আমরা ঢাকার ভিতরে ও আশেপাশে কিছু লোডশেডিং করবো। তবে প্রয়োজন নাও হতে পারে। বিপিসিকে বলেছি বাকিতে তেল দেয়ার জন্য।'

বছরে ৪ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যে পরিকল্পনা আইএমএফকে দেওয়া হয়েছে, তা শিগগিরই কার্যকর শুরু হবে বলেও জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।