আওয়ামী সরকারের স্বৈরাচারী শাসনে ধস নেমেছিল ব্যাংকিং খাতে। অনিয়ম, খেলাপি ঋণ ও মালিকানা বদল ইস্যুতে চরম ঝুঁকিতে পড়ে ইসলামী ব্যাংকসহ ১১টি ব্যাংক। এস আলম, নজরুল ইসলাম মজুমদার ও সালমান এফ রহমানের মতো বিগত সরকারের দোসররা নামে বেনামে ঋণ নিয়ে পাচার করেছে লাখ লাখ কোটি টাকা।
এরমধ্যে শুধু এস আলমের কাছেই ইসলামী ব্যাংকগুলোর ঋণের ৮৭ শতাংশ অর্থ রয়েছে । আর এসব অনিয়ম ও অর্থ লুটপাটে দায় রয়েছে খোদ ব্যাংক কর্মকর্তাদের। তাই ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর এ খাতের সংস্কার শুরু হলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে কয়েকটি ব্যাংক।
তবে ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতে যারা সহযোগিতা করেছে তাদেরকে দায় নিতে হবে জানালেন বর্তমান চেয়ারম্যানরা। সেই সাথে চাকরি থেকে অব্যাহতি ছাড়াও তাদেরও শাস্তি পেতে হবে বলে জানান তারা। মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের সংস্কার নিয়ে এক সেমিনারে এ কথা জানায় তারা।
এসময় যারা অর্থ লোপাট করেছে তাদের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে টাকা ও মালিকানা উদ্ধারের দাবি জানানো হয়। যে বিষয়ে আইন সংস্কার সহ কাজ করা হচ্ছে বলে জানান গভর্নর। এদিকে জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াতের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছে অভিযুক্তরা।
কিন্তু সেই জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাইয়ে অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন। তাই এনআইডি এককভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন গভর্নর।
এছাড়াও আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে আইএমএফ ঋণের কোনো প্রয়োজন হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।