আজ (রোববার, ২১ এপ্রিল) কাতারের আমিরের সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কাতার আমিরের এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। শেখ তামিম বিন-হামাদ আল থানির বাংলাদেশ সফরে দেশটির কাছ থেকে এক বছরের জন্য বাকিতে জ্বালানি তেল কেনার প্রস্থাব দেবে বাংলাদেশ।’
হাছান মাহমুদ বলেন, এই সফরে কাতারের সঙ্গে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।’
কাতার আমিরের সফরসূচি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি কাতারের আমির শেখ তামিমকে অভ্যর্থনা জানাবেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই নেতার বৈঠক হবে এবং এরপর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির। সেখানে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর শেষে আমির মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের নামফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কাতারের আমির।
ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করবেন দেশটির আমির। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।
এই সফরকে কেন্দ্র করে সরকারের পক্ষ থেকে কাতার আমিরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে স্বাগত জানাতে এরই মধ্যে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক।