প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সব ধরনের ব্যবসায়ীকে নিয়ে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যাশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছে ছিলো প্রথম রমজানের আগেই পেঁয়াজ আমদানি করবো। এতে ভোক্তারা উপকৃত হবে। কিন্তু এটি একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসে। আগামী সপ্তাহে আসবে ভারত থেকে আমদানিকৃত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজের প্রথম চালান।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান ও এফএফবিসিআই সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমীন হেলালী প্রমুখ।
অন্যান্য নিত্যপণ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ডাল, ছোলা, চিনি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। তেলের দাম ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। খোলা তেল ১৪৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।'
ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় শুধু রমজান মাসে নয়, সারা বছরই অভিযান চলমান থাকবে উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যৌক্তিক কর ব্যবস্থাপনা না থাকলে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না। নিত্যপণ্যের যৌক্তিক কর নির্ধারণ করা গেলে ভোক্তারা উপকৃত হবেন।’
তিনি বলেন, 'কৃষি পণ্য সাপ্লাই চেইন শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করছি। কৃষি মন্ত্রণালয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের দাম নির্ধারণ করবে এবং আমরা এটা মনিটরিং করবো। কেউ যেন এর বাইরে যেতে না পারে। আর ভোক্তারা ১৬১২১ নম্বরে কল করে অভিযোগ দিতে পারেন। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আমরা সাপ্লাই চেইনকে মজবুত ও স্বচ্ছ করতে একটা সফটওয়ারও চালু করছি।'
তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে চালের অস্থিরতা ছিল এখন নাই। তার মানে বাজারে চালের সরবরাহ আছে। আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।'
মো. আমীন হেলালী বলেন, 'বাজার কমিটির সাথে আলোচনা করে নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করা হবে। বাজারে চাঁদাবাজির পুরো চেইনকে চিহ্নিত করে মূলোৎপাটন করতে হবে। ভোক্তার অধিকারে শুধু দাম নয়, মান নিয়েও কাজ করবো আমরা।'
গোলাম রহমান বলেন, 'কেউ অতি মুনাফার জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের শক্তিশালী হস্তক্ষেপে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।'
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও পরিবহন খরচের কারণে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেন বাণিজ্য সচিব।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি, তেল দাম বাড়লে কোনো দেশ তা আড়াল করে রাখতে পারেন না, এড়িয়ে যেতে পারে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের অ্যাকশন আছে, সরকার নিষ্ক্রিয় নয়। বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, ফল একদিন আসবে। সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।’
সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘উৎপাদনকারী থেকে আমদানিকারক হয়ে ভোক্তার কাছে যেতেই অনেক দাম বেড়ে যায়। এটা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। সিন্ডিকেট সরকার ভাঙবে, এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত তাদের খতিয়ে দেখার বিষয়।’
এ সময় সাপ্লাই চেইন মনিটরিং সিস্টেম (এমসিএমএস) অ্যাপের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।