বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থান বাংলাদেশের। তবে সুতা তৈরির জন্য প্রয়োজন তুলা, যার প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের মোট উৎপাদিত তুলার অর্ধেকেরও বেশি আমদানি করে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এবং চীন। যেখানে কাঁচা তুলা আমদানিতে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে দেশে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র এক লাখ ৭৬ হাজার বেল, যা চাহিদার দুই শতাংশও পূরণ করতে পারছে না। এ কারণে ঘাটতি মেটাতে প্রতি বছর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে ৮০ লাখ বেলের বেশি তুলা। এর মধ্যে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্রাজিল থেকেই বাংলাদেশ অপরিশোধিত ৪৯ কোটি ডলারের কাঁচা তুলা আমদানি করে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ব্রাজিল দূতাবাস আয়োজিত তুলা বিষয়ক এক সেমিনারে উঠে আসে ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিষয়ক নানান দিক।
তুলা উৎপাদনে ব্রাজিলের যে সক্ষমতা, সেটি বাংলাদেশের পোষাক খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর সে লক্ষ্যেই বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় দেশটি।
সেমিনারে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জানান, দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানো গেলে, তৈরি পোশাক খাতে তুলা আমদানিতে সব জটিলতার নিরসন হবে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, 'যেসব ফেব্রিক বাংলাদেশে সম্ভব উৎপাদন করা তারা আগ্রহী সেইসব ফেব্রিক উৎপাদন করতে।'
আরেকজন বলেন, 'আমাদের ফিউচার হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান কটন নিয়ে আগানো এবং আমাদের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির দীর্ঘমেয়াদি পার্টনারশিপ খুব গুরুত্বপূর্ণ।'
ব্রাজিল বাংলাদেশের মধ্যকার ভৌগোলিক দূরত্বের কারণে তুলা পরিবহণে খরচ অনেক বেশি। খরচ কীভাবে কমানো যায় সেদিকে নজর দেয়ার তাগিদ উঠে আসে সেমিনার থেকে।