মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তের পুষ্টি চাহিদার ভরসা প্রতি পিস ডিমের দাম গেল কয়েক বছরে নামেনি ১২ টাকার নিচে। আর মুরগির প্রতিকেজি সর্বনিম্ন ১৮০ টাকা।
দেশে প্রতিদিন ডিম উৎপাদন হয় ৬ কোটি পিস, যার বাজারদর ৭২ কোটি টাকা। আর মুরগি উৎপাদন হয় সপ্তাহে সোয়া ২ কোটি কেজি, যার বাজার মূল্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই পোল্ট্রিখাদ্য আমদানির পেছনে ব্যয় হয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
দেশে পোল্ট্রি খাদ্য পুরোটাই আমদানিনির্ভর। যদিও এই খাতকে বছরের পর বছর প্রণোদনা দিয়ে আসছে এনবিআর। তবে ফিড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় দেশেও ঊর্ধ্বমুখী মুরগী ও ডিমের দাম। তাই উৎপাদন সহজ করতে কাঁচামালের পাশাপাশি তৈরি খাদ্য আমদানিতেও শুল্ক মওকুফ চান তারা।
ফিড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ডলারের দাম যদি বেড়ে যায়, তখন আমরা সুবিধাটা নিতে পারি না। আর যখন দেশে কাঁচামাল উৎপাদন হবে তখন অনেককিছু ঠিক হয়ে যাবে।’
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এনবিআরের প্রাক বাজেট আলোচনায় আরও বেশকিছু প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয় হোটেল-রেস্টুরেন্ট, গেস্ট হাউস, কগজ, মুদ্রণ, প্রকাশনা চলচ্চিত্র বিজ্ঞাপনসহ কৃষি, রাসায়নিক ও সেবাখাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এ সময় কাউকে হতাশ আবার কাউকে আশ্বাস দেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি জানান, ঘরে ঘরে পুষ্টিকর খাদ্য পোঁছাতে যে প্রণোদনা দেয়া হয়, তার সুফল দেখছেন তারা।
এনবিআর-এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘সুবিধার অপব্যবহার যেন না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি।’
খাদ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।