অর্থ, কৃষি এবং পরিকল্পনা- তিন মন্ত্রণালয়ই পেয়েছে নতুন মন্ত্রী। আর এই তিন মন্ত্রণালয়কে ঘিরেই বাংলাদেশের অর্থনীতির সিংহভাগ কার্যক্রম। দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন মন্ত্রীরা বললেন, দ্রবমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ। ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধের চেষ্টা চলবে।
দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই পরিকল্পনা কমিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন নব নিয়োগপ্রাপ্ত পরিকল্পনা মন্ত্রী মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম। উপস্থিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মন্ত্রণালয়ের আদ্যোপান্ত জানার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চান তিনি। বলেন, 'ইন্টারন্যাশনাল যে সিচুয়েশন, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে যে গ্যাসের সাপ্লাই কমে গেছে, এনার্জি সাপ্লাই কমে গেছে। পশ্চিমা বিশ্ব তাদের বিকল্প অলরেডি বের করার চেষ্টা করছে। তাদের সময় লাগছে করতে। আমরাও বের করবো।'
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য ও গ্রামীণ যোগাযোগকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করবেন তিনি। এসময় দুর্নীতিকে জাতীয় বৈশিষ্ট্য ব লেও মন্তব্য করেন ময়মনসিংহ ৯ আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়া নতুন এই মন্ত্রী। বলেন, 'আমি মনে করি গ্রামীন যোগাযোগব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে গুরুত্ব দিতে চাই।'
সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেন নতুন অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নেমে না আসা পর্যন্ত গৃহীত পদক্ষেপ চলবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে। ব্যাংকখাতে খেলাপিঋণকে বড় সমস্যা বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, 'আমি দেখছি, বোঝার চেষ্টা করছি তারপর সমাধানেরও চেষ্টা করবো।'