প্রতিবেশি দেশটিতে কমেছে বাংলাদেশি পর্যটক। অন্যদিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিতে।
গেল ৭ ডিসেম্বর থেকে এবছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির সরকার। এমন সিদ্ধান্তে ভারতে হঠাৎ অস্থির হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। যার প্রভাব তীব্রভাবে পড়ে বাংলাদেশের বাজারেও। সেইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের বন্যা বিপাকে ফেলেছে পেঁয়াজ চাষীদের।
তবে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ রুপি দরে। পেট্রাপোলসহ অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজসহ বন্ধ আছে ভারতের অত্যাবশকীয় অনেক পণ্যের রপ্তানি।
পেট্রোপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘ভারতে যেসব এলাকায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয় সেসব এলাকায় বন্য হওয়ায় বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে।’
অন্যদিকে সীমান্তের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব। সীমান্তের প্রায় ৩০০ শ্রমিকের উপার্জন নির্ভর করে বিদেশি পর্যটকের উপর। বর্তমানে পেট্রাপোল দিয়ে দৈনিক পর্যটকের সংখ্যা গড়ে ৩ থেকে ৪ হাজারে নেমে এসেছে। মাস খানেক আগেও যা ছিল প্রায় ১৫ হাজারের মতো।
বাংলাদেশি পর্যটকদের অভিযোগ, মূলত চিকিৎসা ও কেনাকাটার জন্য ভারত গেলেও, সীমান্তে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
রুপির দর কমায় ক্ষতির মুখে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিস্টরা বলছেন, প্রতিযোগিতার বাজারে সবকিছু নির্ভর করে দুই দেশের বাণিজ্যের উপর।
করোনা মহামারির সংকট কাটিয়ে সীমান্তের ব্যবসা এখনো খুব একটা লাভের মুখ দেখেনি। কাটমস ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। ব্যবসায়ীদের আশা, নির্বাচন শেষ হলে আবারও চাঙ্গা হবে দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি।