বিশ্বমন্দা ও ডলার সংকটে চলতি বছরে পণ্য আমদানিতে ভাটা পড়ে। তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়ে রপ্তানিতেও। ফলে জুলাইয়ের পর টানা কয়েক মাস কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমায় এ বছর চট্টগ্রাম বন্দর থ্রি মিলিয়ন ক্লাব থেকে ছিটকে পড়ার আশঙ্কা ছিলো।
বন্দর চেয়ারম্যান বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রতিকূলতার মাঝেও বন্দর তার দক্ষতায় কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের রাজস্ব আয় ৭ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এ এম সোহায়েল বলেন, 'আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে ৩.১ মিলিয়ন কনটেইনার হ্যান্ডলিং আমরা সম্পন্ন করবো। ১২ কোটি মেট্রিকটন কার্গোর সকল পণ্যই কিন্তু বাংলাদেশের। দেশের ব্যবসা যে স্থিতিশীল এটা তারই ইঙ্গিত।'
২০২৪ সালের জুনে বে টার্মিনালের মাল্টি পারপাস টার্মিনাল নির্মানের কাজ শুরু হবে। আবুধাবি বন্দর এই টার্মিনাল নির্মাণে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। সব মিলিয়ে বে টার্মিনালকে ঘিরে আগামী বছর বন্দরে বিশ্বব্যাংক, ডিপি ওয়াল্ড, সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি মিলে ১১ বিলিয়ন ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ দৃশ্যমান হবে। যা শুধু বন্দরের ইমেজ নয়, দক্ষিণ পূ্র্ব এশিয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর হবে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'বিশ্বব্যাংক আমাদের এখানে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আশা করছি আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যে আমরা বে-টার্মিনালের কাজ হাতে নিতে পারবো।'
বে টার্মিনালে চতুর্থ টার্মিনাল হিসাবে হবে লিকুইড তেল ও গ্যাস টার্মিনাল। এতে দেশে দুই মাসের জ্বালানি তেলের রিজার্ভ বাড়বে। দেশেই উৎপাদিত হবে এলপিজি পেট্রা কেমিক্যাল। এতে আমদানি নির্ভরতা কমবে। সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।
২০৩০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ১১ মিলিয়ররটিইউএস ও দেশের সব বন্দর মিলিয়ে ১৭ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করবে।