ট্যানারির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা গেলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আরও ৫ থেকে ১০ টি কারখানা এলডব্লিউজি সনদ পেতে পারে বলে দাবি বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির।
চামড়া ও চমড়াজাত পণ্যের বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো আর এই ইউরোপে রপ্তানির জন্য প্রয়োজন হয় লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ এলডব্লিউজি সনদ। । আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চামড়ার চাহিদা থাকলেও , নিষিদ্ধ উপাদান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় অনেক ট্যানারিই এই সনদ অর্জনে পিছিয়ে আছে।
এই সনদ না থাকায় বাংলাদেশ রপ্তানিতে বছরে ৫০ কোটি ডলার আয় হারাচ্ছে। পৌঁছাতে পারছেনা বিশ্বের বড় ব্র্যান্ডের কাছে। সাভারে চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তোলা হলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হয়নি।
আয়ের দিক থেকে পোশাকের পর দ্বিতীয় রপ্তানি পণ্যের খাত হলো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। ২০২২- ২৩ অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি আয় ছিলো ১২২ কোটি ডলার। যা আগের বছর ছিলো ১২৪ কোটি ৫১ লাখ ডলার।
২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে বিটিএ ও এলএসবিপিসি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর যৌথ উদ্যোগে এই এলডব্লিউজি সনদ কমপ্লাইয়েন্স অর্জনে ট্যানারিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়। এই কার্যক্রমের ফলে দেশে আরো ৩ টি ট্যানারি এলডব্লিউজি সনদ পেলো। দেশে এই নিয়ে মোট ৫ টি বেসরকারি ট্যানারি প্রতিষ্ঠান এই এলডব্লিউজি সনদের আওতায় এসেছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এই তিনটি ট্যানারির এলডব্লিউজি সনদ পাওয়া উপলক্ষ্যে একটি সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লেদার সেক্টর বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল।
নিজস্ব বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনা থাকায় সুপারেক্স লেদার লিমিটেড সিলভার ক্যাটাগরিতে, এস.এ.এফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড গোল্ড এবং এবিসি লেদার লিমিটেড সিলভার ক্যাটাগরিতে এলডব্লিউজি সনদ পেয়েছে। এই সনদ অর্জনের ফলে দেশি-বিদেশি উন্নত ব্র্যান্ডের ক্রেতাদের কাছে চামড়া বিক্রি এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সনদপ্রাপ্ত ট্যানারি কোম্পানিগুলো।
সুপারেক্স লেদার লিমিটেডের কার্যনির্বাহী পরিচালক মো: মাসুম মিয়া বলেন, 'এতবড় কোম্পানী হওয়ার পরও এলডব্লিউজি সনদ না থাকায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এজন্য বিশ্বের বড় ক্রেতাদের কাছে পৌছাতে পারিনি।'
ট্যানারির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা গেলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৫ থেকে ১০ টি কারখানা এলডব্লিউজি সনদ পেতে পারে বলে দাবি বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির।
বিটিএ সভাপতি মো. শাহীন আহমেদ জানান, 'অনেক বড় কোম্পানি ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেনি। আমাদের এ খাতে ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।'
২০৩০ সালের মধ্যে এই খাত থেকে ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার আয়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে এজন্য প্রয়োজন আরো বেশি কারখানার এলডব্লিউজি সনদG