ব্যাংকপাড়া
অর্থনীতি
0

তিনদিনে ফেরত দেয়ার আশ্বাসে তারুল্য ঋণ দিতে ইতিবাচক সাড়া

দুর্বল ও তারল্য ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোকে ঋণদাতা ব্যাংক চাইলে তিনদিনে ফেরত দেয়ার আশ্বাসে ঋণ পেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

আজ (বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ১০ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। সেখানে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

চলতি মূলধন ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোর ঋণ পাওয়ার অনিশ্চয়তা কাটাতে গভর্নর জানান, এই ঋণের সুদের হার দু'পক্ষের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে হবে।

তবে এই ঋণের অংক যথেচ্ছা দুর্বল ব্যাংক নিতে পারবে না বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা। বরং কোনো ব্যাংক কী পরিমাণ ঋণ পাবে সেটিও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে বলেও জানান তিনি।

বৈঠকে ব্যাংক ব্যবস্থাপকরা জানান, ইতিবাচক আলোচনা হলেও ব্যাংকগুলোর বোর্ড সভায় এই গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটির বিষয়টি উত্থাপনের পরই সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে।

সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তারল্য সরবরাহকারী ব্যাংকগুলো ঋণগ্রহীতা ব্যাংকের নামে ৯০ দিন মেয়াদের 'তলবি ঋণ' তৈরি করতে পারে। তারল্য সহায়তার বিপরীতে বিদ্যমান স্পেশাল লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) হারে মুনাফা বা সুদ দিতে হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাব থেকে টাকা কেটে নিতে পারবে। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করা না হলে এসএলএফের হারের ওপর অতিরিক্ত দুই শতাংশ সুদ বা মুনাফা আরোপ করা হবে।

ঋণ নেয়া ব্যাংকের চলতি হিসাব থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ব্যাংকের স্থায়ী সম্পদ, বন্ড ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ বিক্রি করে নগদ অর্থ আদায় করবে। চুক্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে প্রয়োজন অনুসারে তথ্য ও কাগজপত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক গ্যারান্টির দিকনির্দেশনা পরিবর্তন করতে পারবে।

এসএস