গত কয়েক দিনে অনেকটা থেমে থেমে চলছিল ব্যাংকের কার্যক্রম। সাধারণ সময়ই ব্যাংকে গ্রাহকদের চাপ থাকে। সেখানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যাংকের সময় কাটছাঁটে যানজটের শহরে অনেকেই পেরে উঠছিলেন না ব্যাংকের সেবা গ্রহণে। মাসের শেষ দিনে জরুরি কাজগুলো সেরে নিতে ভিড় ছিল সাধারণ গ্রাহকদের।
তারা বলেন, ‘আমরা ঠিকমতো পেমেন্ট করতে পারছি। টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রেও ব্যাংকের ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি ব্যবহার করা যাচ্ছে। এতোদিন কেউ আসতেই পারেনি, তাই সেবা নিবে কীভাবে।
এদিকে ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে ফরেন কারেন্সি বিভাগে। অনেকেই স্বাস্থ্য-শিক্ষার মতো জরুরি সেবার জন্য দেশের বাইরে যাবেন। তাই ঢাকার বাইরে থেকে অনেকেই আসেন মতিঝিলে।
অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংকে দুপুরে চাপ ছিল আমদানি বিভাগের এলসি খোলায়। এছাড়া আটকে থাকা রপ্তানির কাজও সারতে আসেন অনেকে। গ্রাহকরা বলছেন, জনস্বার্থে ব্যাংকিং সেবা সব ধরনের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখা উচিত।
এক গ্রাহক বলেন, 'এরকম পরিস্থিতিতে যদি অর্থনৈতিক সংশ্লিষ্ট খাতগুলোকে আলাদা নিরাপত্তার মধ্যে রেখে চালু রাখা যায়, তাহলে অনেক কিছুই স্বাভাবিক থাকবে।'
ব্যাংক কর্মকর্তারাও বলছেন, পুরোদমে ব্যাংক চালু হওয়ায় সেবা নিতে আসছেন গ্রাহকরা। এতে গত কয়েকদিনে গ্রাহকের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে ব্যাংকগুলো।
সোনালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, '৩ ঘণ্টা বাড়তি সময়ে আমরা দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারবো। পাশাপাশি গ্রাহকের বাড়তি সময়ের সেবাও নিশ্চিত করতে পারবো।'
পুরোপুরি আগের অবস্থায় না ফিরলেও গ্রাহকদের চলাচল বেড়েছে ব্যাংকপাড়ায়, সে কারণে চাপ বেড়েছে কিছুটা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আর্থিক খাতে গতি ফিরবে বলে আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।