ব্যাংকপাড়া
অর্থনীতি
0

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে দেড়শ ভরি স্বর্ণ গায়েব, উদ্বিগ্ন গ্রাহক

শিগগিরই আদালতে মামলা

প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের দেড়শো ভরি স্বর্ণ গায়েবের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখা থেকে। লকার খোলা অবস্থায় দেখতে পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহক। স্বর্ণ উধাওয়ের এই খবর শুনে গ্রাহকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উৎকণ্ঠা। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, নগরীর চকবাজার এলাকার বেভারল হিলসের বাসিন্দা রোকেয়া বারী। চকবাজার শাখার ইসলামী ব্যাংকের লকারে রেখেছিলেন ১৬০ ভরি স্বর্ণ। তার অভিযোগ, গত ২৯ মে তিনি ব্যাংকে কিছু স্বর্ণ ব্যবহারের জন্য আনতে গিয়ে লকার খোলা অবস্থায় দেখতে পান। সেখানে ১৬০ ভরির জায়গায় আছে মাত্র ১০ ভরির মতো স্বর্ণ। কিছু কাছের চুড়ি, কানের দুল , গলার চেইন ও কয়েকটা আংটি পান তিনি। দেড় কোটি টাকারও বেশি মূল্যের স্বর্ণ লকার থেকে গায়েব হওয়ায় হতবাক তার পরিবার।

স্বর্ণ গায়েবের বিষয়ে রোকেয়া বারী বলেন, ‘লকারে ইনচার্জ উনি তো প্রথমেই ঢুকে, উনি বলতেছে ম্যাডাম আপনার লকারের নম্বর কত। আমি বললাম ফোরটি ফোর। উনি বলে ম্যাডাম আপনার লকার তো খোলা।’

এমন ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব্যাংকটির লকারে স্বর্ণ রাখা অন্য গ্রাহকদের মাঝেও। সকালে ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় লকারে রাখা স্বর্ণ ঠিক আছে কিনা দেখতে হাজির হয়েছেন অনেকে।

ব্যাংকে উপস্থিত একজন গ্রাহক বলেন, ‘একজনের স্বর্ণ চুরি হয়েছে। এখন আমারগুলো চুরি হয়েছে কিনা, ওই জন্য লকার দেখতে চলে এসেছি। আমি এসে দেখলাম লকার, আমার লকারে কিছু হয়নি।’

আরেকজন গ্রাহক বলেন, ‘ব্যাংকে রাখলাম সিকিউরিটির জন্য, কিন্তু সেটা যদি এখান থেকে উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক।’

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, লকারের মূল দরজা খোলার জন্য একজন ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে যার যার লকারের চাবি সেই গ্রাহকের কাছেই থাকে। এখন কীভাবে স্বর্ণ উধাও হলো তা অজানা। এ ঘটনায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার প্রধান কর্মকর্তা এস এম শফিকুল মাওলা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মনে করি ক্লায়েন্ট ভালো জানেন। কী ঘটেছে ক্লায়েন্টেই জানেন। উনার লকারে কী ছিলো, আর উনি কী করছেন। আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছিলেন এবং উনাদের সহযোগিতায় আমাদের কাজ চলছে। আমাদের দিক থেকে কোথাও কোনো সমস্যা আছে কিনা আমরা সেটি দেখছি।’

এ ঘটনায় শিগগিরই আদালতে মামলা করবে ভুক্তভোগী পরিবার।

আসু