কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা ও নিম্নসীমাও বাড়ানো হয়েছে। ঊর্ধ্বসীমা বিদ্যমান সুদহার ৯.৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০.০০ শতাংশ করা হয়েছে। নীতি সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটির ক্ষেত্রে শতকরা ৬.৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.০০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে নতুন এই সুদের হার কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে আরেকটি প্রজ্ঞাপনে, স্মার্টভিত্তিক সুদহার বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমে খোলা বাজারের ওপর সুদহার ছেড়ে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যেভাবে সুদ হার নির্ধারণ হবে:
মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, যোগান সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে। ব্যাংকসমূহ ঋণের খাতভিত্তিক সুদের হার ঘোষণা করবে এবং তুলনামূলক ঝুঁকি বিবেচনায় গ্রাহকভেদে ঘোষিত হার অপেক্ষা ১% কম বা বেশি হারে ঋণ প্রদান করতে পারবে।
ঋণের মঞ্জুরীপত্রে ঋণের সুদহার অপরিবর্তনশীল (Fixed rate) বা পরিবর্তনশীল (Variable rate) তা উল্লেখ থাকতে হবে।
কোনো ঋণের সুদহার পরিবর্তনশীল হলে তা বছরে সর্বোচ্চ কতবার বৃদ্ধি করা হবে এবং উক্ত বৃদ্ধি কত শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে তা অবশ্যই মঞ্জুরীপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, উক্ত সময়ে চলমান ঋণ বা তলবী ঋণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঋণের উপর এবং মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির উপর সর্বোচ্চ ১.৫% দন্ড সুদ আরোপ করা যাবে।
ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত সুদহারের অতিরিক্ত কোনো সার্ভিস চার্জ আরোপ বা আদায় করা যাবে না।