আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় আফজাল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এমডি বলেন, 'বান্দরবানের রুমা শাখাতে সশস্ত্র সদস্যরা ভল্ট খুলতে পারেনি। এবং কোনো টাকাও লুট করতে পারেনি তারা। আমাদের যে ম্যানেজারকে অপহরণ করেছে, তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আমরা খবর পেয়েছি যে, ম্যানেজার ভালো আছেন। আশা করি খুব দ্রুত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।'
আফজাল করিম আরও বলেন, 'বান্দরবানের থানচি শাখাতেও তারা ভল্ট খুলতে পারেনি। তবে ক্যাশ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়েছে।'
পরপর দু'টি শাখায় এমন ডাকাতির ঘটনায় ব্যাংকের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেন সোনালি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ঈদের ছুটিতে ব্যাংকের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, 'ঈদের বন্ধে সোনালী ব্যাংকের সব শাখা যেন সুরক্ষিত থাকে সেজন্য শাখাগুলোর ম্যানেজারদের সাথে অনলাইনে মিটিং করেছি। আমাদের অ্যালার্ম সিস্টেম চালু রাখার কথা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা কার্যকর, সিকিউরিটি কঠোর এবং অফিসাররা যেন বন্ধের সময় সকাল-বিকাল প্যাট্রোলিং এর মধ্যে থাকে সে বিষয়ে কথা হয়েছে।'
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
আরও পড়ুন এবার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের থানচি শাখায় ডাকাতির চেষ্টা
গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ফিল্মি কায়দায় হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। আগের রাতের এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
রাতে ৭০ থেকে ৮০ জনের সশস্ত্র সদস্য সোনালী ব্যাংকের পাহারারত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে ব্যাংকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় ভল্ট ভেঙে টাকা নেয়ার চেষ্টা করে তারা। ডাকাতি শেষে, ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে জেলায় সোনালী ব্যাংকের প্রায় সব শাখায় লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।
কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পর পর কয়েকটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ব্যাংকগুলোর নিরাপত্তা ইস্যু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের ব্যাংকের শাখাগুলোতে কীভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা যায় সেটিই এখন মুখ্য বিষয়।