উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে স্থলপথে বাংলাদেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম আখাউড়া স্থলবন্দর। আগে এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ যাত্রী পারাপার হলেও ভিসা জটিলতায় তা ঠেকেছে দেড়শ' জনে। যার প্রভাব পড়েছে সরকারের রাজস্ব আয়ে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা পরিষেবা সীমিত করে ভারত। বন্ধ রাখা হয়েছে মেডিকেল ছাড়া সব ধরনের ভিসা। যাদের ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসার মেয়াদ রয়েছে, তারাই এখন ভারতে যাওয়া-আসা করছেন।
শুল্ক কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারত থেকে পণ্য আমদানি অনিয়মিত হওয়ায় যাত্রীদের ভ্রমণ করই রাজস্ব আয়ের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা এখন ক্রমশ কমছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মো. ইমরান হোসেন বলেন, 'জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আগে পর্যন্ত আমাদের আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রী পারাপার হতো। সেটা এখন দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ এর মতো। আমাদের যাত্রী প্রতি যে রেভিনিউ সেটা কমতে শুরু করেছে।'
যাত্রী পারাপার আশঙ্কাজনক হারে কমলেও কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে- সে সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলতে পারছে না ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, 'কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি। এ বিষয়ে এখনও কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা কোনো নির্দেশনাও পাইনি। এটাতো দুই দেশের কূটনৈতিকরা বসে ব্যবস্থা নিবে বলেই আমরা জানি। নতুন করে আর কোনো সংবাদ আমাদের কাছে পৌঁছেনি।'
মূলত আগরতলা থেকে রেল ও আকাশপথে সাশ্রয়ী খরচে ভারতের বিভিন্ন শহরে যেতে পারেন বাংলাদেশিরা। ফলে যাত্রীদের কাছে পছন্দের রুট হয়ে উঠেছে আখাউড়া স্থলবন্দর।