বর্ষা ও শীত মৌসুমে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ও নীলাদ্রি লেক সৌন্দর্যে অপরূপ হয়ে ওঠে। প্রতি বেলায় প্রকৃতি সাজে ভিন্ন রূপে। ভোরে সূর্যের আভা ছড়াতেই হাওর হয়ে ওঠে পাখির কলকালিতে পূর্ণ। আর সূর্য যখন অস্তগামী সেসময়ে হাওর ঢেকে যায় সোনালি রঙের চাদরে। এর আমেজ নিতেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে পর্যটকরা।
তিন দফা বন্যা ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পর্যটক খরা শুরু হয় সুনামগঞ্জে। তারপর থেকে এখনও পর্যটক-দর্শনার্থী শূন্য টাঙ্গুয়ার হাওর, নীলাদ্রী লেক, লাকমা ছড়া, বারিকাটিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগান, নীল ঝরনাসহ জেলার দর্শনীয় নানা স্থান। বর্তমানে ভরা মৌসুম হলেও দেখা মিলছে না পর্যটকের। এমন অবস্থায় চাকরি হারিয়েছেন বোটে থাকা প্রায় ৬ শতাধিক কর্মচারী।
ঘুরতে আসা পর্যটক, ‘না আসলে এখানকার সৌন্দর্য বলে বোঝানো কঠিন।’
আরেকজন বলেন, ‘তাদের যে নৌকাগুলো আছে সেখানে যে আপ্যায়ন ও ম্যানেজমেন্ট সুন্দর।’
এদিকে, শীতের মৌসুমেকে কেন্দ্র করে জেলার পর্যটন শিল্প চাঙা করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘তিনবার বন্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমাদের এবারের সিজনটা ভালো যায়নি।’
বেসরকারি বিমান ও পর্যটন শিল্প সচিব বললেন, যেসব স্থানে পর্যটকের আনাগোনা সেখানে কাজ করা হচ্ছে।
বেসরকারি বিমান ও পর্যটন শিল্পের সচিব নাসরিন জাহান বলেন, ‘দেশীয় পর্যটকদের নিয়ে কাজ করলে ডোমেস্টিক পর্যটন খাত বড় সেক্টর হয়ে দাঁড়াবে।’
বন্যা ও অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে সুনামগঞ্জের পর্যটন খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।