ব্যাংকে আমানত রাখা গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ, ঋণ খেলাপিদের অবৈধ সুবিধা দেয়া, বিদেশে অর্থ পাচারসহ নানা দুর্নীতির কারণে ভেঙ্গে পড়া আর্থিক খাত সংস্কারে দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই মনোযোগ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। পরিবর্তন আনা হয় ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদেও।
আজ (শনিবার, ১৬ নভেম্বর) এক সেমিনারেও এ নিয়ে কথা বলেন অর্থনীতিবিদরা। শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, ব্যাংক চালানোর মত যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও মাসোহারা দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে নিজেদের লোক রাখা হয়েছিল কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। দেখানো হয়েছিল ভুয়া রিজার্ভ।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির যে তথ্য আমাদের দেয়া হয়েছিল, যে উপাত্ত দেয়া হয়েছিল এটার ভেতরে মারাত্মক ধরনের সমস্যা ছিল। এবং এক পর্যায়ে গিয়ে আমরা বলেছি, তথ্য উপাত্তের রাজনীতিকরণ করা হয়েছিল।’
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনা সম্ভব না হলে, সংস্কারের পথ মসৃণ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিগত সরকার দেশের আর্থিক ও জ্বালানি খাতকেও গিলে ফেলেছে বলে অভিযোগ এই অর্থনীতিবিদের।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যারা অর্থনীতি সেক্টর খেয়েছে, তারাই কিন্তু এনার্জি সেক্টরে আছে, তারাই কিন্তু ব্যাংক লুট করেছে। তারাই কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট লুট করছে। তারাই কিন্তু মেগা প্রজেক্টের কন্ট্রাক্টর।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সরকারি বা বেসরকারি খাতের কেউ টাকা পাচার করলে ধরা হবে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি বলি সমস্যা যেগুলো আমরা সব করে যেতে পারবো না। আর্থিক খাতে, ক্যাপিটাল মার্কেটে ইমিডিয়েট যেগুলো সেগুলো আমরা করবো। আমরা এই শর্ট টার্ম টা করবো আর মিড টার্মের পর লং টার্মটা করবে রাজনৈতিক সরকার।’
ব্যাংকিং খাত ও পুঁজিবাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে দাবি করে হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলেও মনে করেন অর্থ উপদেষ্টা।