রাত পোহালেই জাতিসংঘে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ব নেতাদের মিলন মেলা। যেখানে রাজনৈতিক সংকট, বিশ্ব অস্থিরতা, অর্থনৈতিক মন্দার নানা বিষয়ের সমাধানে চলবে বাকবিতণ্ডা।
এবারের অধিবেশনে অংশ নিবে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত দেড় শতাধিক দেশ। এরইমধ্যে নিউইয়র্কে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা। এজন্য পুরো ম্যানহাটন এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে নিউইয়র্ক পুলিশ।
ভেতরে সমাধানের আলোচনা চললেও বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা সদর দপ্তরে সামনে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন। মূল অধিবেশন শুরু না হলেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে হয়েছে বৈঠক। যেখানে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়টি তুলে ধরেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। এতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিও উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জো বাইডেন আর ড. ইউনূসের বৈঠকটি বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে বাংলাদেশের ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা।
সিনিয়র সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের একটি দৃষ্টি রয়েছে আগামীকালকে। প্রবাসী সাংবাদিক হিসেবে আমরা যতদূর জেনেছি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তো হয়েছে। আগামীকাল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের যে প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওনার সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ বৈঠকটি গত ৩০ বছরে হয়নি। যেটা ৩০ বছর পরে হতে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেহেতু শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন এবং নানা টানাপোড়েন চলছে, সে বিষয়টি নিয়ে হয়তো প্রসঙ্গ উঠতে পারে। আমরা জেনেছি যে গতকালের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন আগামীকাল আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে যে বৈঠক হবে সেখানে এসব বিষয় আলোচনা হতে পারে।’
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলে দু'দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হতো।