অর্থনীতি
0

'পরিকল্পনা শেষ, শিগগিরই শ্বেতপত্র লেখার কাজ শুরু করবে কমিটি'

'চাহিদামতো তথ্য উপাত্তের প্রাক্কলন করতে বাধ্য করতো আওয়ামী লীগ সরকার'

পরিকল্পনার কাজ শেষ হয়েছে, শ্বেতপত্র লেখার কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। আজ (মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে তিনি জানান, বিগত সরকারের সময় চাহিদামতো তথ্য উপাত্তের প্রাক্কলন করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ২৪টি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। কমিটির কাছে তারা এ অভিযোগ করেছেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনার কাজ শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন লেখার দিকে আগাচ্ছি। এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অংশীজনের সাথে আলোচনা করবো। আমরা জমা দেয়ার জন্য উন্মুক্ত আহ্বান জানিয়েছিলাম নাগরিকদের ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। অত্যন্ত ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। সেগুলোকে আমরা এখন নিজেদের ভেতরে পর্যালোচনা করে দেখছি।'

তিনি বলেন, 'খুব দ্রুতই আমরা ঢাকার বাইরে অন্তত একাধিক স্থানে টাউনহল মিটিং করবো যেন ঢাকার বাইরে যে অংশীজন আছে তাদের মতামতও আমরা পেতে পারি। যে সমস্ত প্রাক্কলনগুলো করা হয়, তারও বস্তুগত ভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল। অনেকসময় যারা প্রাক্কলন তৈরি করেছেন তারা অসহায় বোধ করেছেন, ওই প্রাক্কলন দিতে বাধ্য হয়েছেন।'

বিগত সরকারের ১৫ বছর মেয়াদে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের জন্য গত ২৮শে আগস্ট ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে অন্তবর্তী সরকার। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ৯০ দিনের মধ্যে কমিটিকে এই শ্বেতপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় তার আগের আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে শ্বেতপত্র তৈরি করা হয়েছিল। ২০২২ সালে "বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন" নামে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করে সামরিক নাগরিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের একটি গণকমিশন।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর