প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যর লীলাভূমি বান্দরবান। পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ছুটে আসেন শতশত পর্যটক। পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে পর্যটকরা চাঁদের গাড়িতে করে ঘুরে বেড়ান এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে।
নীলাচল, প্রান্তিক লেক, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, নীল দিগন্তসহ সবগুলো দর্শনীয় স্থান ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখর থাকে। কিন্তু পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং চলমান পরিস্থিতিতে দেখা দিয়েছে পর্যটক খরা। এতে পর্যটক নির্ভর ব্যবসা বাণিজ্যে নেমেছে ধস।
একজন রিসোর্ট মালিক বলেন, 'বর্তমানে আমাদের রিসোর্টের ব্যবসা খুব খারাপ যাচ্ছে। আর দুই একমাস এমন চললে আমাদের ব্যবসা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।'
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটন খাতে দিনে প্রায় এক কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
বান্দরবান হোটেল মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দীন বলেন, 'আমরা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ স্টাফ ছাঁটাই করে ফেলেছি। এখন আমাদের হোটেল খোলা রাখার জন্য যতটুকু স্টাফ রাখা দরকার শুধু তা রেখেছি।'
তবে পর্যটকদের আশ্বস্ত করে ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে নিরাপদ ভ্রমণের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, 'আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সম্পূর্ণভাবে নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি। এই আলোকে রাষ্ট্রীয় আইন মেনে পর্যটকদের আসার জন্য অনুরোধ করবো। কেউ কোনো নাশকতা করলে কাউকে চাড় দেয়া হবে না।'
জেলায় পর্যটকদের সেবায় রয়েছে শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস। এছাড়াও পর্যটক পরিবহনে রয়েছে চার শতাধিক চাঁদের গাড়ি। সব মিলিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বান্দরবানে ২০ হাজার মানুষ পর্যটন ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট।