জনবহুল শহরের তালিকায় ৭ম স্থানে ঢাকা। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৩ হাজার মানুষ বসবাস করে। এছাড়া দৈনিক ১ হাজার ৮০০ জন ব্যক্তি নগরে বসবাসের জন্য আসছে।
এমন চিত্র যখন দৃশ্যমান তখন বস্তিবাসীদের মধ্যে একটি ঘর,পরিবার খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যারা জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি হননি।
আর জ্বালানি সংগ্রহ করতে পারলেও তার বিপরীতে মাসে পরিশোধ করতে হয় চড়া মূল্য। সেজন্য নিম্নআয়ের মানুষ সংকটে মাঝে মাঝে কুকিং ফুয়েল হিসেবে ব্যবহার করে কাঠ,পলিথিন,জুট ইত্যাদি। যার ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, রোগাক্রান্ত হচ্ছে বিশাল জনগোষ্ঠী।
একজন বস্তিবাসী বলেন, 'আমরা কাঠের জ্বালানিও রাখছি, আবার বিভিন্ন ধরনের ঝুটও রাখছি। এতে আমরা যারা নিম্নআয়ের মানুষ, আমরা যতটুকু এগিয়ে যেতে চাই তার চেয়ে বেশি পিছিয়ে যাই। আবার সোলার প্যানেল সম্পর্কেও ভালো জানি না আমরা। আমাদের জন্য কোনো ব্যবস্থাও রাখা হয়নি।'
গবেষণার আওতায় আসা মানুষের মধ্যে ৯০ ভাগই নবায়নযোগ্য জ্বালানি শব্দটির সঙ্গে পরিচিত নন। আর ১১ ভাগ মানুষ এই সবুজ জ্বালানির উৎস কি তা জানেন না।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স বিআইপির প্রেসিডেন্ট ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, 'অভাবের কারণে তাদের যে রান্না করার পদ্ধতি তাদের স্বাস্থ্যে যে ইমপ্যাক্ট তৈরি করে আমাদের সরকারের এটা মাথায় রেখে অবশ্যই সোলারের ব্যবহার বাড়াতে হবে।'
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রভাব পড়ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের তাগিদ দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, 'কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ তা বিচার করতে হবে। কোনটা খুব বেশি দরকার সেটাও মাথায় রাখতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যত যেতে পারবো ততই ভালো হবে।'
গবেষণার সুপারিশে বলা হয়েছে, জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় সরকার এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।