শিশু থেকে বয়স্ক প্রায় সবার পছন্দের খাবার চকলেট। এর মূল উপাদান হলো কোকোয়া নামে এক ধরনের ফল। তবে এই ফলের বাজার পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হওয়ায় চকলেটের তৈরি বিভিন্ন পণ্য কিনতে চড়া দাম গুণতে হয় ক্রেতাদের।
কোকোর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার অ্যামাজন বনভূমি হলেও আফ্রিকা মহাদেশে ব্যাপক পরিসরে এর চাষ হয়। সেখান থেকে দীর্ঘ পথ ঘুরে কোকোয়া আসে এ অঞ্চলে।
দেশে চকলেট, আইসক্রিম ও কেকের বড় বাজার থাকলেও দাম অনেকেরই নাগালের বাইরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে কোকোয়া ফল উৎপাদনের ফলে কমতে পারে চকলেটজাত পণ্যের দাম। এরইমধ্যে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে কোকো চাষ হচ্ছে।
সাভার হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, 'কোকো চাষ সম্ভাবনাময়। কোকোয়া ফল উৎপাদন করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব।'
এদিকে, কোকোয়া ফলের চাষ ছড়িয়ে দিতে এটির বীজ উৎপাদন শুরু করেছে হর্টিকালচার সেন্টার কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন অনেকেই এসব বীজ কিনতে ভিড় করছেন হর্টিকালচার সেন্টারে।
একজন ক্রেতা বলেন, 'কোকায়া ফলের চারা কিনতে আসছি। এটি লাভজনক তাই চাষ করবো।'
দেশে কোকোয়া ফলের চাষে কৃষকদের আকৃষ্ট করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ফলের উৎপাদন বাড়লে আয়ের বড় পথ উন্মোচন হতে পারে বলে মনে করেন তারা।
সাভার হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ কৃষিবিদ মো. জামিউল ইসলাম বলেন, 'এই ফল পাহাড়ি অঞ্চলে যদি ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে বাংলাদেশ যে প্রতি বছর ৫০০ কোটি টাকার কোকো পাউডার আমদানি করে তা থেকে সাশ্রয় হবে।'
দেশেই কোকোয়া ফল উৎপাদন শুরু হলে কৃষকদের নতুন আয়ের পথ খুলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে কমবে আমদানি নির্ভরতা।