এতে বাসাবাড়িতে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য বেড়েছে ইউনিটপ্রতি ২৮ পয়সা। আর সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য বেড়েছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা। সেচে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৪৩ পয়সা।
সরকারের নির্বাহী আদেশে এক বছরের মাথায় গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল বিদ্যুতের দাম। গ্রাহক পর্যায়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম গড়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে বেড়েছে ৭০ পয়সা। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের বিল থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হবে।
লাইফলাইনের আওতায় দেড় কোটি গ্রাহকের প্রতি ইউনিটে বাড়বে ২৮ পয়সা, যাদের মাসিক মোটি বিল বাড়বে ২২ টাকা। সেচ পাম্পে ইউনিট প্রতি বাড়বে ৪৩ পয়সা, যা মাস শেষে হবে ২৬২ টাকা।
সাধারণ গ্রাহক আবাসিকে সর্বোচ্চ ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারী একজন গ্রাহকের বাড়বে প্রতি ইউনিটে ৪১ পয়সা, যার মাসিক বিল বাড়বে ৪০ টাকা।
২০০ ইউনিট ব্যবহার করলেই ইউনিট প্রতি বাড়বে ৫৭ পয়সা, মাস শেষে যার মোট বিল হবে ১২২ টাকা। আর ১ হাজার ২০০ ইউনিট ব্যবহার করলেই প্রতি ইউনিটে বাড়বে ১ টাকা ৩৫ পয়সা। যার মাস শেষে মোট বাড়বে ১ হাজার ৪৪৩ টাকা।
এর আগে দুপুরে বিদ্যুতের নতুন দাম ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
যদিও গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মার্চ থেকেই বিদ্যুতের নতুন দর কার্যকর হবে। তবে এর দু'দিন পর তিনি জানালেন, মার্চ নয়, ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই বিদ্যুতের নতুন দাম কার্যকর হবে।
ডলারের ঊর্ধ্বগতির কারণে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘এ বছর বিদ্যুতের ভর্তুকি প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা। যা একবারে সমন্বয় করা অসম্ভব, এজন্যই ধীরে ধীরে সমন্বয় করার চিন্তা মন্ত্রণালয়ের। এরই অংশ হিসাবে ইউনিটপ্রতি ৩৪ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের দাম।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো সমন্বয় এবং বৃদ্ধির একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকে। বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হবে, তাতে বাজার বা জনগণের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। ’