অর্থনীতি
0

মার্চের শুরুতে মিলতে পারে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

দেশের গ্যাস সংকট মোকাবিলায় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে কাজ করছে সরকার। যার অংশ হিসেবে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে ২৫টি কূপ অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছে বাপেক্স।

এরই ধারাবাহিকতায় গেল বছরের নভেম্বরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নে শাহজাদপুর-সুন্দলপুর-৩ উন্নয়ন কূপের খনন কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত যার ৩ হাজার মিটার খনন শেষ হয়েছে। আর ৫শ' মিটার খনন হলেই ডিএসটি পরীক্ষার মাধ্যমে এখানে গ্যাসের মজুত সম্পর্কে জানা যাবে।

কূপ খননের কাজে জড়িত মো. জোবায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা  আছে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার মিটারে কোনো সমস্যা পাইনি।’

কামরুল হাসান রাসেল বলেন, ‘তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করতে পারবো।’

এর আগে এই এলাকায় আরো দুটি গ্যাস কূপ খনন হয়। যে অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগাতে পারছেন কর্মীরা। কয়েক বছর আগেও এ ধরনের কাজে নির্ভর করতে হতো বিদেশিদের ওপর। কিন্তু এখন প্রায় ২শ’ জন দেশি প্রকৌশলী আর শ্রমিকরা মিলে এই কাজ করছেন।

কূপ খননের কাজে জড়িত ইঞ্জিনিয়াররা বলেন, ‘দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এবং ক্রু রয়েছে যারা খুব ভালোভাবে খনন কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।’

আরেকজন বলেন, ‘আশা করছি এই কূপ থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করতে পারবো। আর যদি নিচের তিনটা জোনে বাড়াতে পারি তাহলে  আরও বেশি গ্যাস পাওয়া সম্ভব।'

এখান থেকে গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে শিল্পকারখানা স্থাপন হলে এই অঞ্চল পাবে নগরায়নের ছোঁয়া এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

নোয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, ‘এই গ্যাসের মাধ্যমে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। যা আগামী দিনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে।’

ইএ