মিয়ানমার কক্সবাজার সীমান্তজুড়ে চাপা আতংক বিরাজ করছে। দিন রাত থেমে থেমে গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তের গ্রাম। কাজে যেতে না পারায় আয় উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে অনেকের। স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা, অর্থনীতির চাকা। আগামী শনিবার থেকে টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
সীমান্তের ওপার থেকে দিনের বেলা থেমে থেমে আসছে গুলির শব্দ। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুলির শব্দে কেঁপে উঠে কক্সবাজারের থাইংখালী, রহমতের বিল, উলুবুনিয়ার সীমান্ত।
ওপারে মিয়ানমারের ঢেকিবুনিয়া, কোয়াংচিপাং ও শীলখালী সীমান্ত ক্যাম্পে সশস্ত্র বিদ্রোহী ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। বাসিন্দারা বলছেন, আগের চাইতে গোলাগুলি কমলেও, চাপা আতঙ্ক ভর করে আছে সবার মাঝে।
উখিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় শুনশান নীরবতা। ১ সপ্তাহ ধরে শত শত একর ফসলি জমি, মাছের ঘেরে যেতে পারছে না চাষীরা। এতে উপার্জনের পথও বন্ধ হয়ে আছে তাদের।
সীমান্ত ঘেঁষা নাফ নদী ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় টেকনাফ থেকে এ নদী হয়ে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটক জাহাজ শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিন যাবে। এ অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে প্রভাব পড়বে এখানকার জীবন জীবিকা আর অর্থনীতিতে।
এদিকে সংঘর্ষের কারণে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে টেকনাফ স্থল বন্দরেরও। এতে কমেছে আমদানি রপ্তানি।