আয়কর আইনে তালিকাভুক্ত ব্যাংকে অনশোর-অফশোর আয়ে করহার সাড়ে ৩৭ শতাংশ। অপরদিকে কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত গ্রাহক পর্যায়ে ২০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণে এবং ক্রেডিট কার্ড পেতে রিটার্নের প্রাপ্তিস্বীকার বাধ্যতামূলক। তবে এসব খাতেই ছাড় চায় ব্যাংকগুলো।
ব্যাংকগুলো বলছে, নিজস্ব আয় থেকে মূলধন বাড়িয়ে ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চায় তারা। একইসঙ্গে গ্রাহকদের সহজে ক্ষুদ্রঋণ দিতে চায়। তাই করপোরেট করহার কমিয়ে ৩০ শতাংশ ও সকল ট্রেডেড কোম্পানির জন্য একই হার নির্ধারণের দাবি ব্যাংকগুলোর। একইসঙ্গে প্রাপ্তি স্বীকার ছাড়াই ঋণের পরিমাণ ৫০ লাখ ও ক্রেডিট কার্ড সর্বনিম্ন ৫ লাখ করাসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে ছাড় চায় তারা।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে আরও বেশকিছু ছাড়ের দাবি নিয়ে এনবিআরে হাজির হয় ব্যাংক, বিমা, মার্চেন্ট ব্যাংক ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। আলোচনায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২০ থেকে ১৫ শতাংশ করার দাবি জানায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। অপরদিকে জীবনবীমা পলিসি হোল্ডারের নির্ধারিত ১৫ শতাংশ মুলধনী কর কমিয়ে আনা, বীমা প্রিমিয়াম ও স্বাস্থ্যবিমায় ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়।
তবে এনবিআর বলছে, এলডিসি গ্রাজুয়েশন যতো ঘনিয়ে আসছে সক্ষমতা অর্জনের চাপও বাড়ছে। তাই কোন খাত ছাড় পাবে আর কোন খাত অব্যাহতি পাবে এ নিয়ে কাজ করছেন তারা।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘আমরা কেন কর ছাড় দিচ্ছি? কোথায়, কেন এই সুবিধা দিচ্ছি। এই সুবিধার কী ফল পাচ্ছি, কর ছাড়ের পরিমাণ কমিয়ে আনা দরকার।’
এছাড়া শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভর না থেকে পুঁজিবাজার ও বন্ডের দিকেও নজর দেয়ার পরামর্শ এনবিআর চেয়ারম্যানের।