অর্থনীতি
0

পরিত্যক্ত সিমেন্টের বস্তা থেকে নতুন ব্যাগ

কুষ্টিয়ায় পরিত্যক্ত সিমেন্টের বস্তা দিয়ে ব্যাগ তৈরিতে যুক্ত অন্তত ৩০০ পরিবার। বড় বাজার এলাকায় গড়ে উঠেছে এ শিল্প। কারিগররা জানান, ছেঁড়াফাটা ও পরিত্যক্ত সিমেন্টের বস্তা কিনে বানানো হয় নতুন ব্যাগ।

গত ১৬ বছর ধরে সিমেন্টের পরিত্যক্ত বস্তা দিয়ে ব্যাগ তৈরি করে আসছেন কুষ্টিয়া জেলার উত্তর মিলপাড়া আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা কল্পনা খাতুন।

পুরনো সিমেন্টের বস্তা থেকে ব্যাগ তৈরি করছেন কল্পনা খাতুন

অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে শুরু করেন ব্যাগ তৈরির কাজ। প্রথমে বিভিন্ন এলাকা থেকে এই সিমেন্টের বস্তা সংগ্রহ করে তৈরি করতেন ব্যাগ। লাভজনক হওয়ায় এখন এ কাজে জড়িত অনেকে।

কল্পনা খাতুন বলেন, 'কারিগড়ের বিল ও সব খরচ বাদ দিলে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা থাকে। এর উপরে হয় না। ভালো মেশিন হলে আমরা অনেক আয় করতে পারতাম।'

পরিত্যক্ত এক একটি বস্তার দাম ৪ টাকা। এদিকে ব্যাগ তৈরির পর তা বাজারে বিক্রি হয় ১০ থেকে ৮০ টাকায়। সপ্তাহে গড়ে এখানে ব্যাগ বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার। আর মাসিক আয় হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদা থাকলেও পুঁজি না থাকায় পরিসর বড় করা যাচ্ছে না।

পরিত্যাক্ত ব্যাগ ধোয়ার পর তা নিয়ে যাচ্ছে কানিগড়রা। ছবি: কুষ্টিয়া।

ব্যাগের কারিগরেরা জানান, 'ফজরের পর থেকে আমরা বস্তা ধুয়ে থাকি। অনেক সময় ১০টা, ১১টাও বেজে যায়। বস্তার উপর এ সময় নির্ভর করে। মেশিন ভালো হলে আমাদের কাজ আারও বেশি হত। সরকার যদি আমাদের ক্ষুদ্র ঋণ দিত তাহলে আমাদের অনেক উপকার হত।'

ঋণসহ কারিগরদের সবধরনের সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দিলেন কুষ্টিয়া বিসিকের ব্যবস্থাপক মো: আশানুজ্জামান। তিনি বলেন, 'ওনারা যদি একটা সমিতি করে সে সমিতির মাধ্যমে আসে তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫ বা ১০ টা মেশিন কেনার টাকা ঋণ দেয়া হবে।'

শুধু জেলাতেই নয়, এসব ব্যাগ ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা, রাজবাড়ীসহ আশপাশের জেলাতেই বাজারজাত হচ্ছে।

এসএস