আগামী বছর বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততর বর্ধিত অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এছাড়া বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে, যে কারণে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়াবে। এদিকে প্রথমস্থানে থাকা ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
সংস্থাটি বলছে, বিভিন্ন খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনিয়োগ শুরু হবে। কারণ সুদের হার, মজুরি ও দাম বেশি থাকায় সবাই বিনিয়োগে সতর্ক থাকবে।
এমইআই আশা করছে, আগামী বছর বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ১.১ শতাংশ কমবে। একইসঙ্গে ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। প্রকৃত বৈশ্বিক জিডিপি ২.৯ শতাংশের বেশি হতে পারে।
এমইআই-এর মতে, ২০২৪ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। যদিও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) পূর্বাভাস, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। যা দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় সর্বোচ্চ।
বিশ্বের ৪৮টি দেশের মধ্যে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ৭.২৫ শতাংশ। যা সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান হবে চতুর্থ।
এদিকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি ৬.৬ শতাংশের পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

পদ্মা সেতু। ছবি: এখন টিভি
এই প্রতিবেদনে আরও বেশকিছু তথ্য উঠে এসেছে। আগামী বছর বাংলাদেশের মানুষ বিনোদন ও ঘুরাঘুরিতে বেশি অর্থ খরচ করবে।
এমইআই দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের অবস্থাসম্পন্ন ৪৮ দেশের ভোক্তাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।